• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৮

উঁকি দিচ্ছে ইনিংস পরাজয়

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টেস্টের চিত্রনাট্য যেন একই। তিন-চারদিন যেতেই উঁকি দেয় হারের সম্ভাবনা। কখনো কখনো সেটি ইনিংস হারের মতো বড় ব্যবধানেই। যেমন চলমান সেন্ট লুসিয়া টেস্টে। বৃষ্টির লুকোচুরিময় তৃতীয় দিন শেষে জেগেছে ইনিংস হারের শঙ্কা। তৃতীয় দিন রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২। উইন্ডিজের দেয়া লিড থেকে এখনো দূরে ৪২ রান। নুরুল হাসান সোহান-মেহেদি হাসান মিরাজ এখন শেষ ভরসা। সোহান ১৬ এবং মিরাজ ০ রানে অপরাজিত আছেন। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যা তিনি ১২ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন।  আর কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। এই শান্তর আউটে আছে দায়িত্বহীনতা। একই কাজ করেছেন অভিজ্ঞ দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনে বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শান্ত সেট হয়েও যেভাবে আউট হয়েছেন তা দৃষ্টিকটু। তার সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটি সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল। কিন্তু আর তা হয়ে ওঠেনি। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রোচ। ২ উইকেট জোসেফের। তামিমকে ফিরিয়ে রোচ ২৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক অর্জন করেন। ষষ্ঠ উইন্ডিজ বোলার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। টপকে যান আরেক গ্রেট মাইকেল হোল্ডিংকে (২৪৯)।
 
প্রথম সেশনে বন্ধ থাকা ৮০ মিনিট পুষিয়ে নিতে আজ আধঘণ্টা বেশি খেলার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি তা হতে দিলো না। উলটো ৩৮ মিনিট (বাড়তি ৩০ মিনিটসহ) আগেই দিনের খেলার ইতি টানতে হয়। আজ সারাদিন মোটে খেলা হয়েছে ৫৬.৩ ওভার। তাতে উইকেট পড়েছে ১১টি। উইন্ডিজের ৫টি আর বাংলাদেশের ৬টি! ৫ উইকেটে ৩৪০ রানে দিন শুরু করে উইন্ডিজ। আজ তারা ২০.৩ ওভারে ৬৮ রান যোগ করে ৫ উইকেটে। অলআউট হয় ৪০৮ রানে। যার মধ্যে ৩টিই নেন খালেদ। এতে তার ফাফার পূর্ণ হয়। ১০৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯২/৪ ছিল এতদিন ক্যারিয়ার সেরা। টেস্টে দশমবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার। শাহাদাত হোসেন সবচেয়ে বেশি চারবার নিয়েছেন। বাংলাদেশের একমাত্র সান্ত্বনা খালেদের ফাইফার। অ্যান্টিগা তেস্টেও বোলাররা দারুণ করেছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হার ঠেকানো যায়নি। সেন্ট লুসিয়াতেও একই অবস্থা। টপ অর্ডারের বেহাল দশা। মুমিনুল হক একাদশে সুযোগ পাননি, এনামুল হক বিজয় এসেও হাল ধরতে পারেননি। অ্যান্টিগা টেস্টে সাকিব-সোহান জুটি বেঁধে ইনিংস হার এড়িয়েছিলেন। এবার দায়িত্ব সোহান-মিরাজের কাঁধে। পারবেনতো তারা? 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।