• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৫

সিরিজ শেষ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ১০ উইকেটের হারে

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশ হারটা ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। বৃষ্টি কিংবা নুরুল হাসান সোহান, অপেক্ষাটাই বাড়াতে পেরেছেন কেবল। দারুণ এক ফিফটি করেছেন সোহান, তাতে কীইবা যায়-আসে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে পরিসংখ্যানে সেটা শুধুই একটা হাফ সেঞ্চুরি হয়ে থাকবে। সঙ্গে লেখা থাকবে বাংলাদেশের আরও একটি টেস্ট সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পনের গল্প। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটি ছিল সেন্ট লুসিয়ায়। এই ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এর আগে তারা অ্যান্টিগা টেস্টেও হেরে যাওয়ায় ২-০তে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে ৪০৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৬ রান করলে ক্যারিবীয়ানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১২ রানের। ওই রান কোনো উইকেট না হারিয়েই করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ১৬ রানে সোহান ও ০ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ দিনের শুরুতেই নেমে আসে বৃষ্টি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মাঠ শুকানোর পর প্রস্তুত হয় খেলার জন্য।  
 
মাঠে নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মিরাজ। আলজেরি জোসেফের অতিরিক্ত বাউন্সে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো জশুয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বল খেলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মিরাজ। অন্য প্রান্তে লড়াইটা ঠিকই চালিয়ে যেতে থাকেন সোহান। টেল-এন্ডারদের আগলে রেখে ইনিংসকে এগিয়ে নেন। হাঁকান দারুণ সব বাউন্ডারি। এই লড়াইয়ের ভেতরই ৪২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এনে দেন ১২ রানের লিড। পেয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিও। যদিও খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে খালেদ আহমেদ আউট হলে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় সোহানকে। ৫০ বল খেলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৬০ রান করেন তিনি। তবে শেষ অবধি কিছুই আর কাজে আসেনি। আরও একটি টেস্ট সিরিজ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন ধারাবাহিকভাবে, তাদের লেগেছে রীতিমতো বিধ্বস্ত। নেতৃত্ব বদলেও আসেনি সাফল্য, দায়িত্ব নিতে না জানলে কীভাবে আসবে ওই প্রশ্নও যেন আরও একবার ওঠল!
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।