দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাংলাদেশের মানহানিকারীদের ক্ষমা চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ২৯ জুন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘পদ্মা সেতু: এক দশকের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির মাইলফলক'- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে প্রধান ফসল উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছে, যাতে ১১ লাখ টন থেকে চারগুণ বেড়ে ৪৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ব্যবসা-বান্ধব সরকার রপ্তানি আয় ৭/৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়ে। মহামারিকালে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছিলেন।
ড. আব্দুল মোমেন তার বক্তৃতায় সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুনরাবৃত্তির পর থেকে সরকার যে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কিছু সমস্যার কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরীক্ষা আরও সহজ এবং স্বল্পতম সময়ে পাসপোর্ট ইস্যু করার বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে আমাদের একটি স্বাধীন জাতি উপহার দিয়েছিলেন। ৫১ বছর পর তার স্বপ্নদ্রষ্টা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের স্বনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার এক গৌরবময় প্রতীক। এটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার দিকে অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি মাইলফলক। হাইকমিশনার পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের রেকর্ড রেমিটেন্স দেশে ফেরত পাঠানোর প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে অভিনন্দন জানান।
দেশকন্ঠ/অআ