• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩৪

পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকারীদের ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাংলাদেশের মানহানিকারীদের ক্ষমা চাইতে ও ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ২৯ জুন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘পদ্মা সেতু: এক দশকের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির মাইলফলক'- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশকে প্রধান ফসল উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করেছে, যাতে ১১ লাখ টন থেকে চারগুণ বেড়ে ৪৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ব্যবসা-বান্ধব সরকার রপ্তানি আয় ৭/৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়ে। মহামারিকালে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছিলেন।
 
ড. আব্দুল  মোমেন তার বক্তৃতায় সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার বন্যার্তদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুনরাবৃত্তির পর থেকে সরকার যে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কিছু সমস্যার কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরীক্ষা আরও সহজ এবং স্বল্পতম সময়ে পাসপোর্ট ইস্যু করার বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে আমাদের একটি স্বাধীন জাতি উপহার দিয়েছিলেন। ৫১ বছর পর তার স্বপ্নদ্রষ্টা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের স্বনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার এক গৌরবময় প্রতীক। এটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার দিকে অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি মাইলফলক। হাইকমিশনার পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের রেকর্ড রেমিটেন্স দেশে ফেরত পাঠানোর প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে অভিনন্দন জানান।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।