দেশকন্ঠ ডেস্ক : খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রার কারণে এখন রক্তচাপ রোগটি বেড়েছে। এক্ষেত্রে এ অসুখটি ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করতে পারলে অনেক গুরুতর সমস্যাই দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে এই রোগ নিয়ে সতর্ক করে যান বিশেষজ্ঞরা।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন রক্তচাপ বেড়েছে!
এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটি মানুষের শরীরেই রয়েছে রক্তচাপ। রক্তবাহী নালীর ভেতর থেকে রক্ত প্রবাহের সময়ে যে চাপ তৈরি হয়ে যায় তারই নাম রক্তচাপ। এবার রক্তচাপ বেশি থাকলেই মুশকিল। তখন শরীরের ভেতর বহু অঙ্গের ক্ষতি করে দেয় এই রোগ। তাই প্রতিটি মানুষকে এই নিয়ে সচেতন হতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপরের প্রেশার ১২০ এর মধ্যে এবং নিচের প্রেশার ৮০ এমএম/ এইচজি এর মধ্যে থাকলে স্বাভাবিক প্রেশার বলা হয়। এর থেকে বেশি হলে শরীরে সমস্যা বাড়ে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ওপরের প্রেশার ১৪০ এবং নিচের প্রেশার ৯০ ছুঁলেই বলা যেতে পারে হাই প্রেশার। আর স্বাভাবিক থেকে হাই প্রেশারের মাঝামাঝি স্তরকে বলা হয় হাই নরমাল। এবার প্রেশার বেশি থাকা কিন্তু কোনও মতেই ভালো নয়।
লবণ বেশি খাওয়া মানুষের প্রেশার থাকে বেশি। এছাড়া দেখা গেছে যে খারাপ জীবনযাত্রা, দুশ্চিন্তা, কম ঘুমানো ইত্যাদি সমস্যার কারণেও বাড়ে প্রেশার। এছাড়়া অনেক সময় দেখা যায় যে থাইরয়েড, অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে টিউমার থাকার জন্য বাড়ে।
আসল প্রেশার রোগটির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় তেমন কোনও লক্ষণই বের হয় না। তবে অনেকের উপসর্গ প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে থাকতে পারে মাথার পেছনে ব্যথা, সকালের দিকে মাথা ব্যথা বাড়ে, মাথা ঝিমঝিম করে, অস্বাভাবিক ঘাম হয়, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই লক্ষণ নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে এখন ছোট বয়সেও প্রেশার বাড়ছে। তাই বয়স ১৮ পেরোলেই বছরে একবার প্রেশার মাপতে হবে।
প্রেশার সমান্য বেশি থাকলে শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়ায় কিছু পরিবর্তন করেই ভালো থাকা যায়। এক্ষেত্রে লবন খাবেন না। কারণ লবন খেলেই প্রেশার বাড়বে। এছাড়া আপনাকে এড়িয়ে যেতে হবে ফাস্ট ফুড, চিপস ইত্যাদি। এছাড়া আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। দিনে ৬ ঘণ্টা ঘুম চাই। পাশাপাশি দুশ্চিন্তা দূর করুন।
প্রেশারের অনেক ওষুধ রয়েছে। প্রতিটি ওষুধের কাজ করার ধরন আলাদা। এই ওষুধগুলোকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে হয়। এই ওষুধগুলো অত্যন্ত কার্যকরী। সহজেই এই ওষুধে সমস্যা কমে যেতে পারে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
প্রেশারের ওষুধ একবার শুরু হলে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে মাঝেমাঝে প্রেশার মাপতে হবে। কারণ এর ডোজ কম বেশি করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে একই ডোজে বা একই ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সচেতন থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো প্রেসারের ঔষধ ছাড়া যাবেনা।
দেশকন্ঠ/রাসু