• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৯

৬ ঘণ্টা পর কমলাপুর ছাড়লেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

  • জাতীয়       
  • ২৫ জুলাই, ২০২২       
  • ৭৯
  •       
  • ২৫-০৭-২০২২, ০৯:০৫:০১

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে তাকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎও পাননি তিনি। পরে তিনি স্টেশনের সামনে অবস্থান নেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনের সামনে অবস্থান নেওয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাতে সেখানে যান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
 
২৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে যান জোনায়েদ সাকি। এরপর রাত ১০টার কিছু সময় পর সেখানে যান নুরুল হক নুরও। তবে প্রায় ৬ ঘণ্টা স্টেশনের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়েও রেল কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ পাননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও আন্দোলনকারীরা। পরে রাত ১১টার দিকে তারা কমলাপুর স্টেশন এলাকা থেকে চলে যান। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যান মহিউদ্দিন রনিসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তবে তাদেরকে ঢুকতে দেননি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যরা। ফলে রনি ও তার সহযোগীরা স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে স্টেশনে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
 
 
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মহিউদ্দিন রনিকে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হুইল চেয়ারে বসে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেটও। এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকে। আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি। প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান নিয়ে থাকবো।’ একপর্যায়ে শুধু জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্টেশনমাস্টার আনোয়ার হোসেন ফটকের কাছে এসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বলেন, ‘আপনি শুধু ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। বাকিদের প্রবেশের অনুমতি নেই।’
 
জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ আবেদনে সাড়া দেননি। ফলে তাদেরকে ভেতরেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থায় স্টেশনের ফটকে অবস্থান নেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও আন্দোলনকারীরা।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।