• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪৮

ঝিঁঝিঁ পোকার বার্গার বানাল থাইল্যান্ড

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : খাদ্য উপযোগী পোকামাকড় চাষে খ্যাতি আছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের। রাজধানী ব্যাংককসহ ছোটবড় বিভিন্ন শহরে একদিকে যেমন স্ট্রিটফুড হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে বিভিন্ন পোকামাকড় ভাজা, তেমনি পোকামাকড় চাষে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগও রয়েছে দেশটিতে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এবার ঝিঁঝি পোকার তৈরি বার্গার এনেছে থাইল্যান্ডভিত্তিক জনপ্রিয় চেইন ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ বাউন্স বার্গার। বার্গারে যে মাংসের বড়াটি থাকে, সেটি বানাতে গরু, ভেড়া, ছাগল, শুকর, মুরগি বা মাছ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাউন্স বার্গার রেস্তোরাঁ যে বার্গারটি বাজারে এনেছে, সেটির বড়া বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে ঝিঁঝি পোকা।
 
রেস্তোরাঁটির অংশীদার পুপিপাত থিয়াপাইরাত এই বার্গার বাজারে আনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এএফপিকে বলেন, ‘রাস্তার পাশের স্ট্রিটফুড ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঝিঁঝি পোকা ভাজা সয়া সস দিয়ে ক্রেতাদের পরিবেশন করেন, কিন্তু এই পোকা যে কেবল এই পদ্ধতিতেই খাওয়া সম্ভব— ব্যাপারটি এমন নয়।’ ‘এই পোকা দিয়ে বার্গারের বড়া বানানো যায়, বেকারি ও সফট কুকিজে ব্যবহার করা যায় এমনকি ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের সঙ্গে আমরা সে কেচাপ খাই, তাতেও এটি ব্যবহার করা সম্ভব।’ তবে ব্যাংককের স্ট্রিটফুডের দোকানগুলোতে যেভাবে ঝিঁঝিঁ পোকা ভাজা হয়, বার্গার তৈরিতে ব্যবহৃত ঝিঁঝিঁ পোকার প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন বলে জানিয়েছেন থিয়াপাইরাত।
 
‘স্ট্রিটফুডের দোকানগুলোতে পুরো পোকাটিকেই ভাজা হয়। তবে বার্গার তৈরির ক্ষেত্রে পোকার পাখা-পাসহ অন্যান্য শক্ত অংশ বাদ দিয়ে কেবল মাংসল অংশটি রাখা হয়। এই ব্যাপারটি অনেকটা মাংস বা মাছের বড়া বানানোর সময় সেখান থেকে হাড়-কাঁটা ফেলে দেওয়ার মতোই।’ বাউন্স বার্গার রেস্তোরাঁর এই উদ্যোগ থাইল্যান্ডে আগত বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলেও আশা করছেন অনেক রেস্তোরাঁ মালিক। পবন থেডথং নামের এক রেস্তোরাঁ মালিক এএফপিকে বলেন, ‘আমিষের সবচেয়ে কার্যকর উৎস হলো পোকামাকড়; এমনকি পশু-পাখির মাংসের থেকেও এটি উপকারী। কারণ পশু-পাখির মাংসে ক্ষতিকর কোলেস্টোরেল ও চর্বি থাকে, পোকা-মাকড়ে থাকে না।
 
‘কিন্তু আমরা খেয়াল করেছি, থাইল্যান্ডবাসীর কাছে পোকামাকড় ভাজা বেশ জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড হলেও বেশিরভাগ বিদেশি পর্যটক এসবের দিকে ফিরেও তাকান না। সম্ভবত আস্ত পোকামাকড় ভাজা দেখতে তারা অভ্যস্ত নন, এ কারণেই এমন ঘটে।’ ‘আমার মনে হয়, পোকামাকড় দিয়ে যদি বার্গার বা এই জাতীয় খাবার বানানো যায়, সেক্ষেত্রে দেশীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছেও বিকল্প এই আমিষের উৎস আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।’
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।