• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৪৫

শান্তির জন্য এক হয়ে কাজ করবে ২৪ দেশের সেনাবাহিনী

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আঞ্চলিক তথা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়ে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) রাজধানীর একটি হোটেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিক। শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ. ফ্লিনসহ ২৪ দেশের সামরিক নেতা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে জেনারেল শফিউদ্দিন এবং জেনারেল ফ্লিন বিদায়ী বক্তব্য রাখেন এবং আইপিএএমএস-২০২২ এ অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন।  এ ছাড়া পরবর্তী আয়োজক হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কাছে আইপিএএমএসের পতাকা হস্তান্তর করা হয়।  সবশেষে বাদ্যযন্ত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। বিদায়ী বক্তব্যে জেনারেল ফ্লিন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থলবাহিনীর নেতারা এ সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে এ সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
 
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৬তম আইপিএএমএস -২০২২ এর উদ্বোধন করেন। ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ’ নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ২৪টি দেশের সিনিয়র সামরিক নেতারা।  এবারের সম্মেলনে বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থলবাহিনীর ভূমিকা বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। আইএসপিআর আরও জানায়,  সম্মেলনের একটি পর্ব কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’ বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন অংশগ্রহণকারী সামরিক নেতারা। এ ছাড়া  জুনিয়র নেতারা পেশাদারিত্বের ওপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশ নেন। সম্মেলন শেষে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
 
সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে স্থলবাহিনীর ভূমিকা শীর্ষক সেশনে অংশ নেন। এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।