• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৮

বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বাড়ি ও গোয়াল ঘর নির্মাণ

  • জাতীয়       
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪১
  •       
  • ১২-০১-২০২৩, ০৯:২৮:০৪

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : নীলফামারীর ডিমলায় দক্ষিণ সোনাখুলির চর কুটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ শহীদ মিনারের জায়গা দখল করে বাড়ি ও গোয়ালঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে আবু রায়হান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে ওই জমি তিনি কিনেছেন বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ জানালেও, লাভ হয়নি। এমনকি সালিশে বসেও সমাধান না হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ সোনাখুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। বিদ্যালয়ের নামে ২০০৭ সালে ৩৪ শতাংশ জমি দান করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা তায়েজ উদ্দিন ও ফয়েজ উদ্দিন। এর মধ্যে ১২ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে বাড়ি নির্মাণ করেন রায়হান। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বাড়িঘর নির্মাণের কারণে প্রতিদিনের সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
 
অভিযুক্ত আবু রায়হান বলেন, আমি তো স্কুলের জমি দখল করিনি। বিদ্যালয়ের জমিদাতা ফয়েজ উদ্দিনের ছেলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়েছি। আমি বৈধ জমিতেই বাড়ি করেছি। এতে স্কুলের ক্ষতি হলো না লাভ হলো, এটা আমার দেখার বিষয় না। বিদ্যালয়ের জমিদাতা তায়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা চার ভাই। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া ৬ একর ৬৪ শতাংশের মধ্যে ৩৪ শতাংশ জমি আমরা দুই ভাই স্কুলের জন্য দান করেছি। সমপরিমাণ জমি অন্যত্র ভোগদখল করছে ফয়েজ উদ্দিন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর তার সন্তানেরা ওই জমির মালিকানা দাবি করে স্কুলের ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে বলে শুনেছি। ফয়েজের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা ১২ শতক জমির মালিক। আমাদের অংশ আমরা বিক্রি করে দিয়েছি।
 
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, বর্তমানে পাঠদানের জন্য দুটি টিনশেড ঘর আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, স্কুলের শহীদ মিনারহ পুরো মাঠ দখল করে বসতবাড়ি করেছে আবু রায়হান। অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর বিদ্যালয়ের একটি পাকা ভবন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি মাটি পরীক্ষা করেছে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ। এখন মাঠ দখল হওয়ায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভবনের বরাদ্দ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়ের জমির সঠিক সীমানা নির্ধারণের জন্য উপজেলা সার্ভেয়ারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।