• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২১

৪৪ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম তাপমাত্রার ভিন্ন রূপ

  • জাতীয়       
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৩
  •       
  • ১৭-০১-২০২৩, ০১:১৩:১০

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : ৪৪ বছরে এবারই প্রথম ঘটলো এমন ঘটনা। খুব একটা তফাৎ নেই দিন ও রাতের তাপমাত্রায়। এর অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, বলছে আবহাওয়া অধিদফতর। নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরুর খবরও দিলেন দফতর কর্তারা। চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বনিম্ম তাপমাত্রার এ রেকর্ড গত কয়েক বছরের তুলনায় এখনও কম। ২০১৮ সালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তারপরও এ বছর শীতের তীব্রতা বেশি থাকার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার মধ্যরাত থেকে পরের দিন দুপুর কিংবা কখনো কখনো দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল প্রকৃতি। ফলে সূর্যের আলো ভূ-পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করতে পারেনি।৭ জানুয়ারি ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি। একইভাবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া এবং দিনের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকায় শীত অনুভূতি বেশি হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ ডা. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “দুই তাপমাত্রার পার্থক্য বহুলাংশে কম থাকার কারণে গত ৪৪ বছরের মধ্যে দিনের তাপমাত্রার এই রকম অবনমন ঘটেনি। এই বার ত্রিমনসুন এবং মনসুন পিরিয়ডে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকার কারণে এই সয়েল ময়েশ্চারের যোগান মাটিতে কম ছিল। ফলে দিনের সর্বোচ্চ যে তাপমাত্রা তা অনেকটা নীচে নেমে আসে, প্রায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি এসেছিল। এর ফলে আমরা শীতের তীব্রতা দেখলাম।”

কিশোরগঞ্জ, নীলফামারি, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, শ্রীমঙ্গলসহ আশাপাশের বিভিন্ন জেলায় আগামী তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত আবারও শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ডা. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “যেখানে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আছে সেগুলোর কিছুটা অবনমন হতে পারে এবং এসব জেলার পার্শ্ববর্তী জেলায় মৃদু তাপমাত্রা বিস্তার লাভ করতে পারে।” তবে মৃদু এই শৈত্যপ্রবাহ কখনো কখনো ২১ থেকে ২৩ দিন পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।