• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:০২

বাঘের কঙ্কাল তৈরি করল বন বিভাগ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : মৃত কুমিরের হাড় দিয়ে কঙ্কাল তৈরি করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার মৃত বাঘের হাড় ও বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে কঙ্কাল (অবয়ব) তৈরি করে চমক দেখিয়েছেন করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাঘের কঙ্কাল তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরুর এক বছরের মাথায় এসে সফল হয়েছেন তারা। করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরের নেতৃত্বে বাঘের এই কঙ্কাল তৈরি করা হয়। বন বিভাগের বোটম্যান মোস্তাক আহমেদ, কুমির শেডের তত্ত্বাবধায়ক নিমাই রপদান ও করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবুল হাসান এই কাজে সহযোগিতা করেছেন।
 
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর এলাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া একটি বাঘের হাড় ও অন্যান্য অঙ্গ থেকে এই অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি কোনো বিশেষজ্ঞ টিম ছাড়াই বাঘের কঙ্কাল তৈরির কাজ শুরু করা হয়। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সফলভাবে সেই কঙ্কাল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাঘের কঙ্কাল তৈরির জন্য আমাদের সঙ্গে কোনো বিশেষজ্ঞ না থাকলেও নিজেদের আগ্রহ থেকে এটা তৈরি করেছি। এর আগে করমজলে একটি কুমিরের কঙ্কাল তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে থাকার সুযোগ হয়েছিল।
 
আজাদ কবির বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাঘটির মরদেহ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। তারপর আমরা কাজ শুরু করি। চামড়া ও হাড়কে দীর্ঘ স্থায়িত্ব করার জন্য ধাপে ধাপে নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আশা করি ভবিষ্যতে বাঘের এ চামড়া ও অবয়ব দর্শনার্থীদের জন্য করমজল ইন্টারপিটিশন ও ইনফরমেশন সেন্টারে রাখা হবে। এর মাধ্যমে দর্শনাথীরা সুন্দরবনের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন, বাঘের মৃতদেহ আনার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হাড়গুলো সংরক্ষণ করা হয়। হাড়ের রঙ যাতে পরিবর্তন না হয় এবং পোকামাকড় নষ্ট না করে সেজন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। হাড়ের ভেতরে থাকা অস্থিমজ্জা বের করা হয়েছে যাতে পোকার আক্রমণে রঙ নষ্ট না হয়। এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কঙ্কাল তৈরি করা হয়।  অবশেষে এক বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছি। এজন্য খুবই ভালো লাগছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।