• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১০ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২০

শান্তিরক্ষা মিশনে গাম্বিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

  • জাতীয়       
  • ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪১
  •       
  • ১০-০২-২০২৩, ০১:৩৮:২৯

দেশকন্ঠ ডেস্ক : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করলে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে এতে সম্মতি দেন।  বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গাম্বিয়া জাতিসংঘের উপযুক্ত শান্তিরক্ষী মিশনে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়।এম. নজরুল শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।সফররত গাম্বিয়ার মন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখায় অবদানে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশি জনশক্তি ও প্রযুক্তি গাম্বিয়ায় হস্তান্তরের প্রস্তাব করেন।তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের নীতি উল্লেখ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না এবং জনগণ এতে সাড়া দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে।গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।