• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:৩৯

সেই মোতালেবের পেট থেকে বের করা হলো আরও ৮টি কলম

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‌বিনা অস্ত্রোপচারে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে সেই মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুল মোতালেবের পেট থেকে। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার পেট থেকে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করে আনেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে দুই দফায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই মোট ২৩টি কলম বের করা হলো ওই রোগীর পেট থেকে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ও এন্ডোস্কোপি করা চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান। মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসে বিনা অস্ত্রোপচারে রোগীর পেট থেকে এতগুলো আস্ত কলম বের করার ঘটনা এটিই প্রথম বলে দাবি করেছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর পেট থেকে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে একটি মোবাইল বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। ভুক্তভোগী রোগী মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার খুকনি আটার দাগ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মোতালেব ৪-৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এসব কলম আস্ত গিলে খেয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।
 
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে তার পেট থেকে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম তার পেটে আর চারটি কলম আছে। কিন্তু আজ বের করার সময় দেখি আটটি। বর্তমানে তার পেটে আর কোনো কলম নেই এবং এখন সে সুস্থ আছে। কাল থেকে তাকে মুখ দিয়ে খাবার দেওয়া হবে এবং ৪-৫ দিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, রোগীটি প্রথমে পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল। পরে মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করেও পেটে কি সমস্যা সেটা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। পরে তাকে আমার কাছে পাঠানো হয়।  তিনি বলেন, আমরা এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার পেটের ভেতর এতগুলো কলম দেখে প্রথমে চমকে যাই, এটা কীভাবে সম্ভব। পরে এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই আমরা কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নিই। 
 
ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি মোটেও সহজ ছিল না, আমাদের জন্য দারুন চ্যালেঞ্জিং ছিল কাজটা। কলমগুলো একে একে পাকস্থলীতে সেট হয়ে গিয়েছিল। কলমগুলো বের করতে আমাদের প্রথমে মাথায় চিন্তা ছিল, কলমগুলো যেন কোনোভাবেই শ্বাসনালিতে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ না হয়ে যায়। এছাড়াও রক্তক্ষরণের একটা চিন্তাও মাথায় ছিল। অতঃপর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা কলমগুলো বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হই।  তিনি বলেন, সেদিন ১৫টি কলম বের করা হলেও আমাদের ধারণা ছিল তার পেটের মধ্যে আরও চারটি কলাম রয়ে গেছে। কিন্তু আজ সোমবার আমরা কলমগুলো বের করার সময় দেখি চারটি নয়, তার পেটে আরও আটটি কলম রয়েছে। আমরা সেই আটটি কলম আজ বের করতে সক্ষম হয়েছি। এখন রোগী ভালো আছেন। মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন, এক বছর ধরে আমার ছেলে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরও সে সুস্থ হয়নি। ১৫ দিন আগে সমস্যা আরও বাড়ে তার।  তখন সে খেতে পারতো না, খালি বমি করতো। এ কারণে তাকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আনার পর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের মধ্য থেকে কলমগুলো বের করে এনেছেন চিকিৎসকরা।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।