পথরেখা অনলাইন : রাজধানীর উত্তরখান এবং দক্ষিণখান থানা এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত পরিচালনা ও মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহারের দায়ে তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব-১ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যাব-১ এর একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ। র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ মিয়া জানান, সম্প্রতি চিকিৎসার আড়ালে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার তথ্যটি আমাদের কাছে আসে। তারা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহার করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুপর ১২টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন আটপাড়া এলাকায় ফাস্ট কেয়ার ডায়াগনস্টিক, কনসালটেশন সেন্টার, দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ এলাকায় কেয়ার প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আজপুর কাঁচাবাজার এলাকায় ফাতেমা মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিক্যাল সার্ভিসে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি জানান, র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহর নেতৃতে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. দেওয়ান মো. মেহেদী হাসানের সমন্বয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেডিকেল সেন্টার পরিচালনা, মেডিসিনের ফ্রিজে মাছ-মাংস সংরক্ষণ, অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহারের প্রমাণ পায়। যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। পারভেজ মিয়া জানান, এ ঘটনায় ফাস্ট কেয়ার ডায়াগনস্টিক এবং কনসালটেশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মো. মোশারফ হোসেনকে এক লাখ টাকা, কেয়ার প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে এক লাখ এবং ফাতেমা মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিক্যাল সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী মোছা. ফারজানা ইয়াসমিনকে এক লাখ টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পথরেখা/অআ