• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৯

ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান প্রায়োরিটি প্রোডাক্ট ওসিওপি এর উদ্দ্যোগে ঢাকায় আঞ্চলিক অনুষ্ঠান

পথরেখা অনলাইন : এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২২টি দেশের মধ্যে দু’দিনব্যাপি  বাংলাদেশ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো একটি আঞ্চলিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী  প্রতিটি দেশ থেকে একটি বিশেষ কৃষি পণ্যের উপর জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশের প্রদর্শনী প্রকল্প হিসাবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান প্রায়োরিটি প্রোডাক্ট (ওসিওপি) উদ্যোগে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।  প্রচারণা করছে কাঁঠালের।
 
অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মঙ্গোলিয়া, নাউরু, নেপাল, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউ গিনি, ফিলিপাইন, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, টোঙ্গা, ভানুয়াতু, এবং ভিয়েতনাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। যেখানে তারা তাদের "বিশেষ কৃষি পণ্যের" টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে কচুর মূল থেকে শুরু করে চা, হলুদ, ভ্যানিলা, কাউন, এবং কোকোয়া।
 
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, উচ্চমান সম্পন্ন এবং দেশ-নির্দিষ্ট খাবারের উৎপাদন ও প্রচার দেশে এবং বিদেশে সেসকল খাবারের ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। যদিও বিশ্বের অনেক দেশের খাদ্য এবং কৃষি পণ্য সেই দেশের স্থানীয় তথাপি বেশিরভাগ দেশে অন্তত একটি কৃষি পণ্য পাওয়া যায় যা সব থেকে ভিন্ন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই বছরের শুরুতে বাংলাদেশে কাঁঠালের ক্ষুদ্র চাষি ও উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য একটি প্রকল্প চালু করে।
 
বাংলাদেশের এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন: “এই আয়োজন বাংলাদেশের জাতীয় ফল সম্পর্কে প্রচার করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ। বিশ্বব্যাপী কাঁঠালের ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উৎপাদনকারীদের সহায়তা করছে।”
 
কাঁঠাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচুর পরিমাণে জন্মানো একটি ফল। ভারতের পরেই বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁঠাল উৎপাদনকারী দেশ। দেশের মোট ফল উৎপাদনের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি হয় কাঁঠালের উৎপাদন (বার্ষিক উৎপাদনের দিক থেকে আম এক নম্বর ফল)। সারা দেশব্যাপী কাঁঠালের চাষ হয়। জাতীয় উৎপাদনের প্রায় এক চতুর্থাংশ ঢাকায় উৎপাদিত হয়। অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কাঁঠাল উৎপাদনকারী জেলাগুলো হল গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, এবং নরসিংদী। বেশিরভাগ কাঁঠাল ব্যক্তিগত জমিতে চাষ করা হয় এবং মহিলারা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত থাকে। পুষ্টিকর কাঁঠাল ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালোরির একটি ভাল উৎস। এত পুষ্টিগুণ এবং রপ্তানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাঁঠাল এখন পর্যন্ত খুব বেশি সাড়া জাগাতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার ওসিওপি উদ্যোগের আওতায় কাঁঠাল নির্বাচন করেছে। মিশর, মালাউই, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশকে প্রথম পাঁচটি দৃষ্টান্তমূলক দেশের একটি দেশ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
 
গাজীপুরের কাঁঠাল চাষি কাজী মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, “কাঁঠাল অত্যন্ত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর একটি ফল। গাছ, পাতা, ফল এবং বীজ সবই ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁঠাল উৎপাদন করা সহজ এবং এতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। এটি একটি উচ্চ ফলনশীল পণ্য। কাঁঠাল বিপণনের আরও জায়গা তৈরী হলে তা আমার মতো কৃষকদের জন্য আরও লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।”
পথরেখা/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।