- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
পথরেখা অনলাইন : হাওর বেষ্টিত বোরো প্রধান চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত গড়ে ৮৫ ভাগ রোপণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষকরা ভাল ফলনের আশা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় চার লাখ কৃষক পরিবার বোরো চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। চার লাখ পরিবারে প্রায় ১০ লাখ কৃষক চাষাবাদের যুক্ত রয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে জেলার সদর উপজেলয় মোট ১৬ হাজার ১৮৫ হেক্টরে, বিশ্বম্ভরপুর ১০ হাজার ৫৮৩ হেক্টরে, দোয়রাবাজার ১২ হাজার ৯০১ হেক্টরে, ছাতক ১৪ হাজার ৯৭৯ হেক্টরে, দিরাই ৩০ হাজার ১৭৭ হেক্টরে, শাল্লা ২১ হাজার ৬৯৯ হেক্টরে, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার ৬১২ হেক্টরে, জগন্নাথপুর ২০ হাজার ৪২৩ হেক্টরে, জামালগঞ্জ ২৪ হাজার ৫০৫ হেক্টরে, তাহিরপুর ১৭ হাজার ৪৩৯ হেক্টরে, ধর্মপাশা ৩১ হাজার ৯০৭ হেক্টরে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। চাষ করা ধানের মধ্যে হাইব্রিড ৬৫ হাজার ২’শ হেক্টরে, উফশি ১ লাখ ৫৭ হাজার ২১০ হেক্টরে, স্থানীয় ধান এক হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।
প্রতি বিঘা জমিতে উফশি ১৯ মণ, হাইব্রিড ২২ মণ ও স্থানীয় ৮ মণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে উফশি ১৪৩ মণ , হাইব্রিড ১৬৭ মণ এবং স্থানীয় ৬০ মণ ধান উৎপাদন করা হবে। যা গড়ে হেক্টর প্রতি ১২৩ দশমিক ৩৩৩ মণ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন ধান।
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের স্বাবলম্বী কৃষক ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ জানান, এবার তিনি ৪৪ একরে বোরো ধান চাষ করছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি ৩২ একর জমি রোপণ করেছেন। তিনি আরো জানান, তাহিরপুর উপজেলার বৃহত্তর শনির হাওরে জলাবদ্ধতার কারণে ১২ একর জমি রোপণের উপযোগী হয়নি। পানি নেমে গেলেই রোপণ করা হবে।
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের কৃষক গোলাম রেজা জানান, এবার তিনি ৮ কেদার জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন। গত বছরও তিনি এ ৮ কেদার জমি চাষাবাদ করে প্রায় ২৫০ মণ ধান পেয়েছেন। এবার আল্লাহ চাহে তো আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলন আরো বেশি হাওয়ার আশা করছেন তিনি। চারজন সদস্যের পরিবার তার। যে ফসল পেয়েছেন তা দিয়েই সংসার চলে যাচ্ছে তার।
তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগ বোরো ধান ফলাতে এবার তাকে তিন প্রকারের সার দিয়েছে এবং ১ কেজি বীজ দিয়েছে। যে পরিমান সার কৃষি বিভাগ তাকে দিয়েছে এই পরিমান সার তাকে কিনতে হলে অন্তত ৮০ হাজার টাকা লাগতো। তিনি আরো জানান, স্কিমের (গভীর নলকূপে পানি সেচ) জমি হওয়ায় কৃষি বিভাগ তাকে সার ও বীজ দিয়ে উৎসাহ দিয়েছে।
দিরাই উপজেলার কলিয়ার কাপন গ্রামের স্বাবলম্বী কৃষক গোলাম জিলানী চৌধুরী জানান, গত বছর তিনি দেড়শত কেদার মানে ৫০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করে প্রায় ২ হাজার মণ ধান পেয়েছেন। এবছর তিনি ২০০ কেদার মানে ৬৭ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। তিনি গ্রামের পাশে উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম চাপতির হাওরে এসব বোরো জমি চাষাবাদ করেছেন। চারদিন আগে বোরো ধান রোপণ করা শেষ হয়েছে।
জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার নয়াহালট গ্রামের কৃষক মো. সেরুল আলম জানান, এবার তিনি উপজেলার বৃহত্তম পাকনার হাওরে ৪৫ কেদার বোরো জমি রোপন করেছেন। তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার তার বোরো জমি রোপণ শেষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। শনিবার পর্যন্ত হাওরে ৮৫ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। বাকি ১৫ ভাগ জমি এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
পথরেখা/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা