• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৩২

টাইম স্কয়ারে সহস্র কণ্ঠে বর্ষবরণের আয়োজন

পথরেখা অনলাইন : আগামী ১৪ এপ্রিল মোতাবেক ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। এর আগের দিন ৩০ চৈত্র হলো চৈত্র সংক্রান্তি। ওই দিন ব্যবসায়ীরা পুরোনো ব্যবসার খাতা বন্ধ করবেন এবং পরের দিন নতুন বছর শুরুর দিন থেকে চালু করবেন নতুন খাতা। একে বলা হয় হালখাতা। বাংলাদেশে চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিরাও এর ব্যতিক্রম নন। যেসব স্টেটে বাংলাদেশিরা আছেন, সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, বস্টন, পেনসিলভানিয়াসহ বিভিন্ন স্টেটে বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি। ফলে এসব স্টেটে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানও বেশি হয়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টাইম স্কয়ারে সহস্র কণ্ঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। এ ছাড়া নিউইয়র্কের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।
 
নিউইয়র্কে ড্রামা সার্কেলের উদ্যোগে বাংলা ১৪৩১ সনকে বরণ করতে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় উডসাইডের ৫৯-১৫ ৩৭তম অ্যাভিনিউর গুলশান ট্যারেসে পান্তা ইলিশ ভোজ এবং আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রং-বেরঙের বৈশাখী সাজে উপস্থিত হতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন এল্ডার হোম কেয়ারের শামসুন নাহার নিম্মির সৌজন্যে পরিবেশিত হবে ইলিশ মাছ। পুরো অনুষ্ঠান স্পনসর করছে এফএমএস, বাংলা ট্রাভেল, মীনা, জেট ডিরেক্ট মর্টগেজ, এশিয়া হোম কেয়ার ও আরা রিয়েলিটি সার্ভিসেস ইনক। টাইটেল স্পনসর হিসেবে রয়েছে ইউটিসব গ্রুপ, টাউন-এমডি ও বারি হোম কেয়ার। আর অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার পরিচয়, নবযুগ, আইবি টিভি ইএসএ ও নিউইয়র্ক সময়।
 
১৪ এপ্রিল নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে সহস্র কণ্ঠে বিশ্ববাঙালির বর্ষবরণ ১৪৩১ অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানটির পাওয়ার্ড বাই গোল্ডেন এজ হোম কেয়ার। সংগীত পরিচালনা থাকবেন মহীতোষ তালুকদার তাপস। এ ছাড়া পহেলা বৈশাখ সহস্র কণ্ঠে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায়ও অনুষ্ঠান হবে। এটি শুরু হবে ১৪ এপ্রিল সকাল আটটায়। দিনভর অনুষ্ঠান চলবে। শেষ হবে রাত নয়টায়।
 
নিউইয়র্কে ১৪৩১ সনের প্রভাতী বর্ষবরণের আয়োজন করছে আনন্দধ্বনি ইনক। অনুষ্ঠানটি হবে দ্য মেরি লুইস একাডেমিতে। এটি ১৭৬-২১ ওয়েক্সফোর্ড ট্যারেস জ্যামাইকায়। অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সোয়া আটটায়। অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কোনো এন্ট্রি ফি নেই। সকাল সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলবে ব্রেক ফার্স্ট এবং বৈশাখী আহার হবে বেলা ১২টায়। অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অদিতি মোহসীন। তিনি লাইভে গান পরিবেশন করবেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রবাসে থেকেও তারা দেশীয় সংস্কৃতি ধওে রেখেছেন। এটি কেবল নিজেদের জন্যই নয়, নতুন প্রজন্মের জন্যও ধরে রাখা প্রয়োজন। তারা সবাইকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
 
১৪ এপ্রিল জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ডিয়াসপোরা ইউএসএ ইনক আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। শিল্পী তাজুল ইমামের পরিবেশনায় মেলার বিশেষ আকর্ষণ ‘বাউলের গহিন পরান’ লোকগীতি। ব্রঙ্কসে বাফার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। দুটি পর্বে দুই দিনে হবে তাদের অনুষ্ঠান। প্রথম পর্বে ১৪ এপ্রিল হবে বৈশাখী প্যারেড আর ৪ মে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার থেকে বৈশাখী প্যারেড শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। ওভালপার্ক ঘুরে এসে এটি আবার পার্কচেস্টারেই শেষ হবে। ইতিমধ্যে বর্ষবরণের প্যারেডের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাফার এক্সিকিউটিভ পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা পহেলা বৈশাখের দিনে প্যারেডটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। এ জন্য ওইদিন প্যারেড করছি। আর বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছি ৪ মে। সেখানে বাফার শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা পারফর্ম করবে। এর মধ্যে থাকবে নাচ, গান ও গিটার পরিবেশনা। প্যারেডের অনুষ্ঠানে কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি বাফার শিক্ষার্থী, শিল্পী, অভিভাবক, শিক্ষক ও বাফার নেতৃবৃন্দ থাকবেন। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠানটি করতে পারব বলে আশা করছি। প্যারেডে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরি। প্রবাসে থেকেও আমরা বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
 
এদিকে ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিনে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দুই দিনব্যাপী তাদের অনুষ্ঠান শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিল পুরোনো বছর ১৪৩০ সনকে বিদায় এবং ১৪ এপ্রিল নতুন বছর ১৪৩১ সনকে বরণ করতে টাইমস স্কয়ারে হবে সহস্র কণ্ঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন মহীতোষ তালুকদার তাপস। অনুষ্ঠান ১৩ এপ্রিল বেলা তিনটায় শুরু হবে আর শেষ হবে রাত ১০টায়। এটি হবে ৪৬ ও ৪৭ স্ট্রিট ব্রডওয়ের মাঝখানে। এর নিবেদন করছে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি। অনুষ্ঠানে বিশ্বখ্যাত শিল্পী পার্বতী দাস বাউল থাকবেন। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশের ফোকসমাজ্ঞী মমতাজ বেগমের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।