• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪২

মায়ের জন্য এলিজি

আকবর হোসেন সুমন, পথরেখা অনলাইন : গোরস্তানের সুনসান নীরবতায় এক নির্মল প্রশান্তি আর স্নিগ্ধতায় ভরা মা'য়ের মুখখানি।
কোমল বিছানা চিরতরে ছেড়ে, চার বেহারার পালকি চড়ে- কবরের বিছানায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।
তখনও সেই ঘুমের মধ্যে কী জীবন্ত এক অবয়ব।
দম আটকে রাখার পর যেন দীর্ঘশ্বাসের মুক্তিতে নির্ভার শরীর।
অসুস্থতায়, যন্ত্রণায় কোচকানো ভ্রযুগলও সেই মুক্তিতে টানটান, সজীব।
বিষের তীব্রতায় কপালে, নাকে, গালে আর কানের কালচে দাগও বিলীন হয়ে-
নিমিষে ফিরে পেলো আমার শৈশবে দেখা হলুদাভ গায়ের রঙ। সেই স্নেহমাখা প্রশ্রয়ের নির্মল হাসি।
কর্পূর আর সুরমার সুবাস প্রতি নিঃশ্বাসে সুগভীর থেকে নিঃশব্দে প্রবেশ করে বাম অলিন্দে।

রক্তের প্রবাহ বন্ধ; শীতল শরীর অস্বাভাবিক ভারী,
তবুও জমে শক্ত হয়নি তখনও।
নরম, কোমল, স্নিগ্ধ, নির্মল, নির্মোহ।
'যেন মৃত্যুর মতো পবিত্রতার প্রতীক হয়ে, মৃত্যুর মতো নিগূঢ়তম সত্যকে অসীম সাহসে বুক পেতে নিয়ে,-
মৃত্যুর মতো আনন্দময় অনন্তযাত্রার অপেক্ষার অবসান হয়েছে'।
দু'হাতে জড়িয়ে বুকের মধ্যে আগলে রাখা-
আমাদের অকৃত্রিম উষ্ণ ছায়াটুকু, আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘপুঞ্জের মতো ভাসতে ভাসতে উধাও হলো।
আমরা অনাথ থেকে অনাদীকালের এতিম হলাম।

'আষাঢ়ের মেঘমালা' কাতারে কাতারে আশুরার কাফেলা হয়ে- ভেসে বেড়িয়ে তাড়া দিয়েছে 'দাফনের'। আকস্মিক রৌদ্রতাপে সেই কালো মেঘই ছায়ার চাদর বিছিয়ে দিয়েছে 'জানাযায়'; কী গভীর মমতায়!
'সহজ মানুষ মা'য়ের অব্যক্ত কথামালা বাষ্প হয়ে'
উড়ে চললো অনন্তের সিঁড়ি বেয়ে, আলোকবর্ষ দূরে।
২২ বছর অদেখা-স্পর্শহীন বাবার পাশেই স্থায়ী হলো নিথর' নিস্তব্ধ দেহের ঠিকানা। আর 'রুহ' বিচ্ছিন্ন হয়ে-
সব অভিমান-অভিযোগ-অসহায়ত্বের উর্ধ্বে;
সব সম্পর্ক-সম্পদ-সৃষ্টি-স্পর্শের নাগালের বাইরে;
ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর একজন অতিথির
যাপিত বাস্তবতার গর্ভে সৃষ্টি সব আপন-পর ভেদ ছিন্ন করে-
সব চাওয়া-পাওয়া আর পাওনার লেশটুকুও-
মুঠো খুলে ছেড়ে দিয়ে যাওয়ার মতো উদারতায়
মা এখন অনবদ্য-অসীমের অভিযাত্রী।

মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত আযানের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে কবরস্থানে মুর্দারের রূহের প'রে মিশে যায়।
আর দীর্ঘদিনের সঙ্গী বাবার সঙ্গে মায়ের পুনরায় দেখায়- দু'জন মিশে যায় মাটির সাথে।
মায়ের রেখে যাওয়া অসীম-অঢেল 'ভালোবাসা' মুগ্ধতায়-বিস্ময়ে হারানোর শোক ভুলিয়ে দেয় নিমিষে।
পথরেখা/এআর   

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।