• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
    ২৯ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:০১

গোপালগঞ্জে বিনাধান-২২ বাণিজ্যিক চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান

  • কৃষি বার্তা       
  • ০৫ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ০৫-১১-২০২৪, ২০:৪৭:৪৮

পথরেখা অনলাইন : বালাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত বিনাধান-২২ আমন মৌসুমের একটি আগাম জাত। জাতটি উচ্চ ফলনশীল। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ ধানের দানা লম্বা ও চিকন। নাজিরসাইল টাইপের বিনাধান-২২ এর বাণিজ্যিক আবাদ করে  গোপালগঞ্জের কৃষকরা লাভবান হয়েছেন ।

প্রতি বিঘায় এ জাতের ধান ২০ থেকে ২২ মণ ফলন দিয়েছে। বিঘা প্রতি এ ধান আবাদে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। বিক্রি নেমেছে ২৪ হাজার টাকা থেকে ২৬ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত । বিঘায় লাভ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত । বাণিজ্যিক সাফল্যে জেলায় এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

বিনা গোপালগঞ্জ উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উদ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, আমন মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ২৫টি প্রদর্শনী প্লটের  কৃষক বিনাধান-২২ জাতের আবাদ করেন। এছাড়া কৃষকের কাছে সংরক্ষিত বীজে জেলার আরো অন্তত ২৫ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ হয়েছে । বিঘায় এ ধান ২০ থেকে ২২ মণ ফলন দিয়েছে। হেক্টরে ফলেছে ৬ টন। এ ধানে রোগ বালাই তেমন নেই। উৎপাদন খরচ বিঘায় মাত্র ১০ হাজার টাকা। ১ বিঘা জমির ধান বিক্রি করে কৃষক ১৪ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করেছেন । জেলায় বাণিজ্যিক চাষাবাদে লাভজনক এ ধানের আবাদ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

উচ্চ ফলনশীল এ ধানের জীবন কাল ১১২ দিন থেকে ১১৫ দিন। ক্ষেত থেকে এ ধান কটে কৃষক মসুর বা সরিষা আবাদ করতে পারেন। এ ধানের বদৌলতে কৃষক একই জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪টি ফসল করতে পারছেন।

কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক হাসান মৃধা বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে প্রদর্শনী প্লট করেছি। বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। তাদের পরামর্শে আবাদ করে বিঘায় ২২ মণ ফলন পেয়েছি। হিসেব করে দেখেছি ১ বিঘা জমিতে এ ধান চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১ হাজার ২শ’ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছি। এতে আমার নীট লাভ হয়েছে ১৬ হাজার ৪শ’ টাকা। এ ধানের  চাল নাজিরসাইলের মতো। খেতে সুস্বাদু। তাই বাজারে এ ধান একটু বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি।আগামীতে এ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি করব।

একই গ্রামের কৃষক রাজ্জাক খন্দকার বলেন, আমরা লাভজনক আগাম জাতের এ ধানের আবাদ বেশি করে করতে চাই। সেজন্য বিএডিসিকে পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করতে হবে। আগাম এ জাতের ধান করার পর একই জমিতে বছরে ৩/৪ টি ফসল করতে পারি । এতে ফসলের উৎপাদন বাড়ে । সেই সঙ্গে আমাদের আয় বৃদ্ধি পায়।

বিনা গোপালগঞ্জ উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী বলেন, এ ধানের  গাছ শক্ত বলে হেলে পড়ে না। ভালো পরিচর্যা পেলে এ ধান হেক্টর প্রতি ৬.১ টন থেকে ৬.৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। স্থানীয় জাত সেখানে বিঘাপ্রতি মাত্র ৬ থেকে ৮ মণ ফলন দেয়। আবাদে সময় লাগে ১৫০ দিন। আগাম ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ ধানের আবাদ করে কৃষক বিঘাপ্রতি ২০/২২ মণ ফলন পেয়ে লাভবান হন।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।