• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
    ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০২:৫৮

আরও তিনটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন

  • কৃষি বার্তা       
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ১৬-১১-২০২৪, ১৫:৩১:০৬

পথরেখা অনলাইন : আরও তিনটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা জানান, জিংক, প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নতুন জাতের এই ধানে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি লবণ ও বন্যাসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনেও গবেষণা চালাচ্ছেন বিরির বিজ্ঞানীরা।

ধানের জাত উন্নয়নে নিয়মিত গবেষণা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০৫টি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান পেয়েছে বাংলাদেশ।

এখানকার উদ্ভাবিত ধানের জাত থেকেই কৃষক বছরে ৩৮ দশমিক ০৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন করছে। ২০১৩ সালেই চাহিদা মিটিয়ে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চাল উদ্বৃত্ত থাকে। আবহাওয়া, পরিবেশ ও অঞ্চলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ধানের জাতগুলো উদ্ভাবন করা হয়। আগে নতুন জাত উদ্ভাবনে ১৪-১৬ বছর সময় লাগলেও এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ৫ থেকে ৭ বছর কমে এসেছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. খন্দকার মোঃ ইফতেখারউদদৌলা বলেন, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা তিনটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি। সেগুলো হলো বিরি-৯৭, বিরি-৯৮ এবং বিরি ধান-৯৯। এর মধ্যে দুটি বোরো মওসুমে লবণাক্ততা সহনশীল ধানের জাত এবং একটি হচ্ছে রোপা মওসুমের জাত।

হাইব্রিডে উৎপাদন বেশি তাই কৃষকের আগ্রহ বেশি। এ পর্যন্ত ৭টি হাইব্রিড জাতের ধান উৎপাদন করা হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির হাইব্রিড রাইস বিভাগের এই বিজ্ঞানী।

বিরির হাইব্রিড রাইস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ জামিল হাসান বলেন, ৭টি হাইব্রিড ধানের জাত দিতে সক্ষম হয়েছে বিরি। সেই ৭টি ধানের মধ্যে ৪টি বোরো মওসুমের, ২টি আমন মওসুমের এবং ১টি আউস মওসুমের।

প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জানান, শুধু নতুন জাত উদ্ভাবনই নয়, ধানের গুণগত মান, লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতায় সহনশীল জাত ও পুষ্টিগুণের দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, এখন জীনসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন করছি, আমরা আয়রনসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ জাতও উদ্ভাবন করছি। খাদ্যের পাশাপাশি আমাদের পুষ্টির চাহিদাও নিশ্চিত করতে হবে। ২০৫০ সালে আমাদের যে জনসংখ্যা হবে তার খাদ্য চাহিদা আমরা কিভাবে পূরণ করতো তার একটা রূপরেখা ইতিমধ্যেই আমরা প্রণয়ন করেছি। সুস্থ্য জাতি গঠনে আরও পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।