- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
পথরেখা অনলাইন : মেট্রোরেলের টিকিটের সংকট নিরসনে ভারত থেকে দ্বিতীয় ধাপে ঢাকায় এসেছে মেট্রোরেলের একক যাত্রার আরও ২০ হাজার টিকিট। এসব টিকিট আগামী মঙ্গলবারের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যেই মেট্রোস্টেশনগুলোতে সরবরাহ করা হবে।
নতুন করে টিকিট সরবরাহের ফলে শিগগিরই সংকট কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
দুই মাস ধরে উত্তরা থেকে মতিঝিল চলাচলকারী এমআরটি-৬ (মেট্রোরেল) একক যাত্রার টিকিট সংকট দেখা দেয়। মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে—একটি এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। র্যাপিড পাস কেনা যাত্রীরা টাকা না ফুরানো পর্যন্ত যেকোনো সময় যাত্রা করতে পারেন। আর একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছার পর স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক। মেট্রোরেল চালুর সময় স্টেশনগুলোতে একক যাত্রার মোট ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত অক্টোবরে ডিএমটিসিএল জানায়, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো একক যাত্রার টিকিট খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে। খোয়া যাওয়া টিকিটগুলো যাত্রীরা ফেরত না দিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন। নষ্ট টিকিটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট সংকট দূর করতে চার লাখ নতুন টিকিট কেনার উদ্যোগ নেয় ডিএমটিসিএল। জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারত যৌথভাবে এসব টিকিট সরবরাহ করে থাকে। টিকিটের মূল জোগানদাতা জাপান, তবে কার্ডগুলো প্রিন্ট হয় ভারত থেকে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, কয়েকটি ধাপে ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার টিকিট আসবে ঢাকায়। এর মধ্যে গত ২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২০ হাজার টিকিট পেয়েছে ডিএমটিসিএল। গত ২১ ডিসেম্বর আরও ২০ হাজার টিকিট ভারত থেকে ঢাকায় আসে। সেই টিকিটগুলোই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মেট্রোস্টেশনগুলোতে সরবরাহ করা হবে।
এ ছাড়া ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আরও ৩০ হাজার টিকিটের একটি চালান ভারত থেকে বিমানযোগে দেশে এসেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই চালানের টিকিটগুলো সরবরাহের চেষ্টা করবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
এমআরটির (লাইন-৬) প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘প্রায় ৯ দিন আগে (২১ ডিসেম্বর) ২০ হাজার টিকিট ঢাকায় এসেছে। কাস্টমসের কিছু জটিলতার কারণে হাতে পেতে দেরি হয়েছে। তবে আমরা আশা করি সোম-মঙ্গলবারের দিকে পেয়ে যাব। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা স্টেশনে সরবরাহ করতে পারব। ভারত থেকে আরও ৩০ হাজার টিকিট সোমবার ঢাকায় এয়ারপোর্টে পৌঁছাবে।’
বর্তমানে মেট্রোরেলে ন্যূনতম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টিকিট প্রয়োজন। সেখানে বর্তমানে ৩০ হাজার টিকিট রয়েছে। এতে স্টেশনগুলোতে টিকিটসংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। পর্যাপ্ত টিকিটের অভাবে সব মেশিনে টিকিট থাকছে না। যে মেশিনগুলোতে টিকিট রাখা হচ্ছে, সেগুলোর টিকিট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফেরত রেখে যাওয়া টিকিট আবার সংগ্রহ করে মেশিনে ভরার আগেই যাত্রীদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। যে পরিমাণ টিকিট ফেরত দেওয়া হচ্ছে, তার চেয়ে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী বেশি থাকছে।
পথরেখা/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা