• মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
    ১ মাঘ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২৬

সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

  • কৃষি বার্তা       
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫       
  •       
  • ১৩-০১-২০২৫, ২১:১৩:২২

পথরেখা  অনলাইন : হাওর বেষ্টিত বোরো প্রধান চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো  আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত গড়ে ৮৫ ভাগ রোপণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষকরা ভাল ফলনের আশা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় চার লাখ কৃষক পরিবার বোরো চাষাবাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। চার লাখ পরিবারে প্রায় ১০ লাখ কৃষক চাষাবাদের যুক্ত রয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে জেলার সদর উপজেলয় মোট ১৬ হাজার ১৮৫ হেক্টরে, বিশ্বম্ভরপুর ১০ হাজার ৫৮৩ হেক্টরে, দোয়রাবাজার ১২ হাজার ৯০১ হেক্টরে, ছাতক ১৪ হাজার ৯৭৯ হেক্টরে, দিরাই ৩০ হাজার ১৭৭ হেক্টরে, শাল্লা ২১ হাজার ৬৯৯ হেক্টরে, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার ৬১২ হেক্টরে, জগন্নাথপুর ২০ হাজার ৪২৩ হেক্টরে, জামালগঞ্জ ২৪ হাজার ৫০৫ হেক্টরে, তাহিরপুর ১৭ হাজার ৪৩৯ হেক্টরে, ধর্মপাশা ৩১ হাজার ৯০৭ হেক্টরে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। চাষ করা ধানের মধ্যে হাইব্রিড ৬৫ হাজার ২’শ হেক্টরে, উফশি ১ লাখ ৫৭ হাজার ২১০ হেক্টরে, স্থানীয় ধান এক হাজার হেক্টর জমিতে  চাষ করা হয়েছে।

প্রতি বিঘা জমিতে উফশি ১৯ মণ, হাইব্রিড ২২ মণ ও স্থানীয় ৮ মণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে উফশি ১৪৩ মণ , হাইব্রিড ১৬৭ মণ এবং স্থানীয় ৬০ মণ ধান উৎপাদন করা হবে। যা গড়ে হেক্টর প্রতি ১২৩ দশমিক ৩৩৩ মণ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার  মেট্রিক টন ধান।

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের স্বাবলম্বী কৃষক ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ জানান, এবার তিনি ৪৪ একরে বোরো ধান চাষ করছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি ৩২ একর জমি রোপণ করেছেন। তিনি আরো জানান, তাহিরপুর উপজেলার বৃহত্তর শনির হাওরে জলাবদ্ধতার কারণে ১২ একর জমি রোপণের উপযোগী হয়নি। পানি নেমে গেলেই রোপণ করা হবে।

ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের কৃষক গোলাম রেজা জানান, এবার তিনি ৮ কেদার জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন। গত বছরও তিনি এ ৮ কেদার জমি চাষাবাদ করে প্রায় ২৫০ মণ ধান পেয়েছেন। এবার আল্লাহ চাহে তো আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলন আরো বেশি  হাওয়ার আশা করছেন তিনি। চারজন সদস্যের পরিবার তার। যে ফসল পেয়েছেন তা দিয়েই সংসার চলে যাচ্ছে তার।

তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগ বোরো ধান ফলাতে এবার তাকে তিন প্রকারের  সার দিয়েছে এবং ১ কেজি বীজ দিয়েছে। যে পরিমান সার কৃষি বিভাগ তাকে দিয়েছে এই পরিমান সার তাকে কিনতে হলে অন্তত ৮০ হাজার টাকা লাগতো। তিনি আরো জানান, স্কিমের (গভীর নলকূপে পানি সেচ) জমি হওয়ায় কৃষি বিভাগ তাকে সার ও বীজ দিয়ে উৎসাহ দিয়েছে।

দিরাই উপজেলার কলিয়ার কাপন গ্রামের স্বাবলম্বী কৃষক গোলাম জিলানী চৌধুরী জানান, গত বছর তিনি দেড়শত কেদার মানে ৫০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করে প্রায় ২ হাজার মণ ধান পেয়েছেন। এবছর তিনি ২০০ কেদার মানে ৬৭ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। তিনি গ্রামের পাশে উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম চাপতির হাওরে এসব বোরো জমি চাষাবাদ করেছেন। চারদিন আগে বোরো ধান রোপণ করা শেষ হয়েছে।

জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার নয়াহালট গ্রামের কৃষক মো. সেরুল আলম জানান, এবার তিনি উপজেলার বৃহত্তম পাকনার হাওরে ৪৫ কেদার বোরো জমি রোপন করেছেন। তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার তার বোরো জমি রোপণ শেষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, চলতি  মৌসুমে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। শনিবার পর্যন্ত হাওরে ৮৫ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। বাকি ১৫ ভাগ জমি এক সপ্তাহের মধ্যে রোপন শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।