• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:১৬

টাঙ্গাইলে গারো সম্প্রদায়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা পেলো আচিক ভাষার বই

  • মত-দ্বিমত       
  • ০৫ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৭৪
  •       
  • ০৬-০১-২০২৩, ০০:০৫:৩৭

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : দেশের বৃহত্তর টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। লাল মাটির মধুপুর গড়ের গারো সম্প্রদায়ের তাদের আচিক ভাষা (গারো ভাষা) হারিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ে সরকার ক্ষুদে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষা বই দিয়েছে। সারাদেশের মতো বই উৎসবে মধুপুরে অন্যান্য বই বিতরণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ বই বিতরণ করা হয়েছে। নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে ছাত্র শিক্ষক ও গারো সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তাদের দাবি গারো শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে গারো ভাষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার। মধুপুরের অরণখোলা, বেরিবাইদ, কুড়াগাছা, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালা ও আউশনারা ইউনিয়নে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। গড় এলাকার বিভিন্ন গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে মিশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির শিশুদের জন্য অন্যান্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভাষার বই দিয়ে ভাষা চর্চা ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বিতরণ করেছে। বাংলা, গণিত ও ইংরেজি তিনটি বই বিতরণ করেছে বলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। নিজস্ব ভাষার বই পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সরকারি মনিটরিং এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করনের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় গারো সম্প্রদায়ের।

গায়রা গ্রামের অভিভাবক সুস্ময় নকরেক জানান, তার মেয়ে নাম্বিয়া দালবত একটি কিন্ডার গার্টেনে পড়ে। ওই স্কুলে গারো ভাষার বই পড়ানোর মতো কোন শিক্ষক নেই। ফলে তাদের ভাষার বই পড়ানো হয় না বলে তিনি জানান। শিশুরা এ ভাষায় বই পড়তে পারলে তাদের ভাষা সংরক্ষণের পাশাপাশি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মার্জিনা চিসিম জানান, গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেয়ায় তিনি ও তার সম্প্রদায় খুশি। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এই শিক্ষিকা বলেন, অনেক স্কুলেই গারো শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু অনেক স্কুলেই গারো ভাষার বই পড়ানোর মত শিক্ষক নেই। এজন্য তিনি যে সব স্কুলে গারো শিক্ষার্থী রয়েছে ওই সব স্কুলে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণের দাবি জানন। তাদের ভাষায় বই পাওয়ার ফলে গারো শিশুরা তাদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষায়ও পড়াশুনার সুযোগ পাবে।

আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ¤্রং নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে খুশি। এর ফলে গারো সম্প্রদায়ের শিশুরা যে সময়ে তাদের ভাষা হারিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই বই পেয়ে শিশুরা নিজস্ব ভাষায় পড়তে পারবে। এ চর্চার মধ্য দিয়ে শিশুরা তাদের ভাষা ধরে রাখতে পারবে। ফলে আচিক ভাষা বা গারো ভাষা সংরক্ষণ হবে বলে তিনি মনে করেন। গারো ভাষার বই পড়ানোর জন্য তিনি গারো শিক্ষক দরকার উল্লেখ করে বলেন, এতে সহজে পড়াতে ও বুঝাতে পারবেন। স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতা ইউজিন নকরেক জানান, গারো ভাষার বই পাওয়ার ফলে শিশুরা তাদের ভাষা চর্চা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এজন্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ও ক্লাসের এই বই পড়ানো প্রতি জোড় দিতে হবে। রোমান হরফে লেখা বই উচ্চারণ অনেকটা কঠিন। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সেমিনার ও কর্মশালার ব্যবস্থা হলে ভাল হবে। এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, বই উৎসবে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি মধুপুরের নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ ও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ৪০০ করে বই বরাদ্ধ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।