• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৫৫

ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে কী করবেন?

  • মত-দ্বিমত       
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৭৭
  •       
  • ১১-০১-২০২৩, ২১:৫৫:৪৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : বিশ্বায়নের এই যুগে দেশ-বিদেশের যেখানেই আপনি থাকুন না কেন, শিক্ষা ও পেশাগত অগ্রগতির জন্য আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কেবল লেখা বা পড়া নয়, অন্য যে-কোনো ভাষার মতো ইংরেজিতেও আপনি পারদর্শী হবেন তখনই, যখন পড়া, লেখা, শোনা এবং বলা- এই চারটি অনুষঙ্গে আপনি দক্ষতা অর্জন করবেন। সহজ কিছু টিপস অনুসরণ করেই আপনি বাড়াতে পারেন ব্যবহারিক ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা।

স্পোকেন ইংলিশ : প্রথমেই প্রয়োজন জড়তা দূর করা
ইংরেজিতে বলায় দক্ষতা বাড়ানোর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় আমাদের জড়তা। বিশেষত, ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসী হিসেবে আমরা বলার ক্ষেত্রে গ্রামার বা ব্যাকরণ প্রয়োগ ও উচ্চারণে একটু বেশিই সচেতন থাকি। ফলে জনসমক্ষে ইংরেজিতে কথা বলতে গেলে মনে আসে নানা টেনশন- সঠিক টেনস (tense) ব্যবহার করলাম তো! উচ্চারণ ঠিকঠাক হলো তো!

এরকম নানা দ্বিধা-সংকোচ-জড়তার দোলাচলে পড়ে আমরা ইংরেজিতে দুটো শব্দ উচ্চারণ করতেও কেমন যেন কুঁকড়ে যাই! প্রথমত মনে রাখতে হবে, ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয়। তাই ইংরেজিতে সবসময় যে আমরা শতভাগ সঠিক ব্যাকরণ ও উচ্চারণে কথা বলতে পারব- এমনটা আশা করাও ঠিক নয়।

গ্রামার বা ব্যাকরণই সব নয়!
গ্রামার বা ব্যাকরণের ভিত মজবুত হলেই যে আপনি ভাষায় দক্ষ হবেন, তা কিন্তু নয়! তা-ই যদি হতো তাহলে স্কুল-কলেজে ১২ বছর গ্রামার পড়ার পরও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি শুনে বোঝা ও বলার ক্ষেত্রে দুর্বল হতো না।

অন্যদিকে, প্রবাসীদের দেখুন- হয়তো স্কুলের গণ্ডিও পেরোয় নি কেউ কেউ, তবুও ইংরেজিতে কথা বলায় কতটা সাবলীল তারা!

আসলে ভাষার মূল উদ্দেশ্য সার্থকভাবে যোগাযোগ সম্পন্ন করা। তাই যথোপযুক্ত গ্রামার বা ব্যাকরণ অনুসরণ না করেও আপনি যে-কোনো ভাষায় দক্ষ হতেই পারেন। কাজেই ইংরেজিতে বলার ক্ষেত্রে স্বচ্ছন্দ হতে মনোযোগ দিন অনুশীলনে। ব্যাকরণে নয়, খুঁজে নিন আপনারই মতো কাউকে। কথোপকথন, আলাপ-আলোচনা, গল্প-স্বল্প সবই করুন ইংরেজিতে।

মুখে ফুটে ইংরেজি বেরুচ্ছে না? আপাতত কিছুদিন বন্ধুদের সামনে দাঁড়িয়ে ইংরেজি বই থেকে উচ্চস্বরে রিড-আউট (দেখে দেখে পড়া) প্র্যাকটিস করুন। এভাবে যত চর্চা করবেন ততোই বাড়বে আপনার স্পোকেন ইংলিশে দক্ষতা।

রিডিং ইংলিশ: জবরদস্তি নয়, ইংরেজি পড়ুন ভালোলাগা থেকেই
নিয়মিত পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব পড়ে বোঝার ক্ষমতা বাড়ানো। তাই প্রতিদিনই ইংরেজিতে কিছু না কিছু পড়ুন।

পড়তে পারেন গল্পের বই, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র বা ই-বুক। তবে প্রথমটায় জটিল বা তাত্ত্বিক প্রবন্ধ পড়তে যাবেন না। কারণ কনটেন্ট ভালো না লাগলে কিছুদিনের মধ্যেই পঠন চর্চায় আগ্রহ হারাবেন আপনি।

আর ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড বুঝে বুঝে না পড়ে পড়ুন স্বাভাবিক গতিতে। নতুন শব্দের জন্যে প্রতিবার ডিকশনারির দ্বারস্থ না হয়ে শব্দার্থ অনুমান করে নিন। হয়তো একবারেই আপনার অনুমান সঠিক হবে না; কিন্তু একই শব্দ যখন কয়েক জায়গায় পাবেন তখন বাক্যের অর্থ বা আবহ থেকে ঠিকই বুঝে যাবেন এর অর্থ!

রাইটিং ইংলিশ: লিখতে লিখতেই বাড়বে লেখার গতি!
প্রতিদিন এক পাতা করে ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস করুন। যে বিষয়ে লিখতে ইচ্ছা হবে সেটাই লিখুন।

গ্রামার ঠিক হলো কিনা, শুরুতেই সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। লেখাটা কতটা নান্দনিক হলো, ভাবার দরকার নেই সেটাও। যে শব্দে লিখতে পারবেন সেটাই লিখুন, অযথা ডিকশনারি ঘাটবেন না। ইংরেজি জার্নাল বা পত্রিকা পড়তে গিয়ে নতুন যে শব্দগুলো শিখলেন চেষ্টা করুন লেখায় সেগুলো ব্যবহারের।

এভাবে অনুশীলনে কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে আপনার লেখার জড়তা। ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিংয়ে দক্ষতা বাড়ার পর টিচার বা ইংরেজিতে দক্ষ অন্য কাউকে দিয়ে আপনার লেখাগুলো মূল্যায়ন করিয়ে নিন। দেখবেন, দিন দিন আপনার ভুল লেখার পরিমাণ কমে আসছে।

লিসেনিং ইংলিশ: শুনে বোঝার ক্ষমতা বাড়াতে করণীয়
নিয়মিত ইংরেজি শুনুন। তা হতে পারে সংবাদ, প্রতিবেদন, ডকুমেন্টারি বা ইংরেজি ভাষায় অন্য কিছু। তবে কোন অঞ্চলের ইংরেজি শুনবেন সেটা একটি বিবেচ্য বিষয়।

যেমন ধরুন, পাশ্চাত্যের ইংরেজি। ব্রিটিশরা এত দ্রুত কথা বলে যে, তাল সামলাতেই বেগ পেতে হয়। আর উচ্চারণ শুনলে মনে হয়, অর্ধেকটা বুঝি গলায় আটকে রেখে কথা বলছেন তারা!

অন্যদিকে প্রাচ্যের, বিশেষত ভারতীয় ইংরেজি শুনে বোঝাটা বেশ সহজ। তাই বিগিনার লেভেলে ভারতীয় ইংরেজি শুনতে পারেন। কিছুদিন পর দক্ষতা বাড়লে তখন ব্রিটিশ বা আমেরিকান ইংরেজি ধরুন।

প্রয়োগ করুন নতুন নতুন শব্দ
সাধারণত দেখা যায়, শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্যে অধিকাংশ ইংরেজি চর্চাকারীই ভোকাবুলারি বই বা ডিকশনারি থেকে শব্দার্থ মুখস্ত করে থাকেন। এভাবে প্রতিদিন ১০/২০টা করে শব্দ মুখস্ত করলেও লেখা বা বলার সময় মনে পড়ে না এর সিকিভাগও! ফলে নতুন নতুন শব্দ শেখার আগ্রহে কিছুদিনের মধ্যেই ভাটা পড়ে।শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধকরণে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে- নতুন শব্দ শেখা মাত্রই তা প্রয়োগ করা।

ধরুন, আপনি প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি শব্দ অর্থসহ মুখস্ত করলেন। দিনের মধ্যে একাধিকবার কথা বলার সময় শব্দটি ব্যবহার করুন। একই কাজ করুন লেখার ক্ষেত্রেও। নতুন শেখা শব্দগুলো সহজে মনে থাকবে, আপনি দক্ষ হবেন সেগুলোর প্রয়োগেও।এভাবেই কেবল লেখা বা পড়া নয়, অন্য যে-কোনো ভাষার মতো ইংরেজিতেও পারদর্শী হবেন আপনি।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।