• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৫৭

‘অনার্স-মাস্টার্সের সনদ নিয়ে লাভ নেই, যদি কাজে না লাগে’

  • মত-দ্বিমত       
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৬৪
  •       
  • ১৫-০১-২০২৩, ০০:২৫:৫২

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘অনার্স-মাস্টার্সের সনদ নিয়ে লাভ নেই, যদি সেটি কাজে না লাগাতে পারেন। যারা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবেন, অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কারিগরিতে আসলে অনেক দ্রুত কর্মসংস্থান হবে, অনেক দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।’ ১৪ জানুয়ারি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর যতগুলো দেশ এগিয়ে গেছে, তারা কারিগরি শিক্ষার ওপর মনোযোগ দিয়েই এগিয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। যারা শিক্ষকতা করবেন, গবেষণায় যাবেন, সুনির্দিষ্ট পেশায় যাবেন, তারা উচ্চ শিক্ষায় গ্রহণ করুন।’চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিগত তিনটি শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারিনি। তবে, এখন আমাদের সুযোগ আছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার এবং সফলতা লাভ করার। এসব বিবেচনায় ২১ শতকের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে। মুখস্ত বিদ্যা, সনদ, পরীক্ষানির্ভর যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল, তা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানের পাশাপাশি যে দক্ষতা অর্জনের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি সফট স্কিলগুলো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে।’

নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, ‘একটা নতুন শিক্ষাক্রমে যেতে হলে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমরা এখনো সে স্টেজেই আছি। ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫—এ তিন বছর মিলিয়ে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ বছর বইগুলো পরীক্ষামূলক গেছে। গত বছর আমরা ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রকল্প চালিয়েছি, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর মাধ্যমিকে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে বইগুলো দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষক- শিক্ষাবিদদের কাছে ফিডব্যাক নেবো। বইগুলো পরিমার্জন ও পরিশীলন করা হবে। এবার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে যে বইগুলো গেছে, এ নিয়ে কারও অস্বস্তি-আপত্তি থাকতেই পারে। আমাদের এ বিষয়গুলো জানাবেন। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী বছর জন্য সংশোধন করব। বাকি শ্রেণির বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করা হবে।’ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মাহফুজুল ইসলাম।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।