• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:১৭

ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রশংসা আমেরিকান দূতাবাসের পেজে

  • মত-দ্বিমত       
  • ২২ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ১৩০
  •       
  • ২২-০৪-২০২৩, ১৭:৫৮:১৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : চোখ জুড়ানো স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য স্থাপনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ। যা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ও ক্যাম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও মসজিদটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এবার সেই মসজিদের সম্মুখভাগের অংশের ছবি বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে।

২১ এপ্রিল শুক্রবার ইউ. এস. অ্যাম্বাসি ঢাকা’র ভেরিফায়েড পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি পোস্ট করার পরপরই দেশি-বিদেশি নাগরিকরা মসজিদটির প্রশংসা করেছেন। মন্তব্যের ঘরে তারা ছবিটির প্রশংসা করে বিভিন্ন মন্তব্য লিখেছেন।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমেরিকান দূতাবাসকে ধন্যবাদ ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উচ্ছ্বসিত হয়ে নিজ টাইমলাইনেও শেয়ার করেছেন অনেকেই। ছবিটি পাঠিয়েছেন সোলাইমান চৌধুরী নামে ইবির এক শিক্ষার্থী।

পোস্টের ক্যাপশনে ছবির প্রেরককে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জুম্মা মোবারক’ এর শুভেচ্ছা জানানো হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সোলায়মান চৌধুরীকে অসংখ্য ধন্যবাদ কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের এই সুন্দর ছবিটি শেয়ার করার জন্য। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।’

ইবির প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে দুই দশমিক ২৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে নির্মাণকাজ চলছে মসজিদটির। নিমার্ণকাজ শেষ হলে মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ১৭ হাজার মুসল্লি। চারতলা বিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদটি সিরামিক ও শ্বেতপাথরে নির্মিত। সূর্যের আলোয় দিনের বেলায় মসজিদটির গা থেকে যেন উজ্জ্বল আভা ছড়ায়। সুউচ্চ গম্বুজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এর মহিমা জানান দিয়ে যাচ্ছে।

মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরের আয়তন ৫১ হাজার বর্গফুট। চারতলার মূল মসজিদে মোট সাত হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে। এছাড়া মসজিদের সামনের পেডমেন্টে নামাজ পড়তে পারবে আরও ১০ হাজার মুসল্লি। মসজিদের সামনের অংশের উপরে রয়েছে ৯০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বৃহৎ গম্বুজ। নিচতলা থেকেও ভেতর দিয়ে গম্বুজটির একদম উপরের অংশ দেখা যায়। বিশাল এ গম্বুজটি মসজিদের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া মসজিদের বাউন্ডারির চারপাশে চারটি মিনার স্থাপিত হবে। যার প্রতিটির উচ্চতা হবে ১৫০ ফুট।

মসজিদের তিনপাশ দিয়ে থাকবে প্রবেশ পথ। প্রতিটি প্রবেশপথে থাকবে একটি করে গম্বুজ। মসজিদ ভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার জন্য প্রতিটি অনুষদীয় ভবন থেকে মসজিদে আসার জন্য রয়েছে প্রশস্ত পথ। মসজিদের নিচতলায় একটি লাইব্রেরি ও রিসার্স সেন্টারের প্রস্তাবনা রয়েছে। যেখানে দেশ ও বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ বইগুলো স্থান পাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধর্মীয়সহ নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন এখানে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।