• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:১৭

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর

  • মত-দ্বিমত       
  • ০৩ মে, ২০২৩       
  • ৪৯
  •       
  • ০৩-০৫-২০২৩, ২২:৪৩:৫৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দেশের কোন  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, অশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বুলিং ও র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২ মে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে নীতিমালা জারি করেছে। এই নীতিমালা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য  প্রযোজ্য হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে র‌্যাগিংয়ে জড়িত ব্যক্তিদের ফৌজদারী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নীতিমালা ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং  প্রতিরোধসংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩’ নামে অভিহিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নীতিমালা দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। জনস্বার্থে এই নীতমালা জারি করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তা কার্যকরা হবে।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি বা সদস্যরা র‌্যাগিংয়ে জড়ালে তাদের বিরূদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তর, শিক্ষাবোর্ডসমূহ, মঞ্জুরি কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের করণীয় সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, বুলিং ও র‌্যাগিংকে উৎসাহিত করা হয়, এরূপ কোনো কার্যকলাপ, সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব জায়গায় বুলিং ও র‌্যাগিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেসব জায়গায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করবে।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে। কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, এমনকি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে এসংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে, প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।  প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের উদাহরণ এবং পরিণতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে এবং প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে  পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারণা চালাবে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে একদিন ‘বুলিং ও র‌্যাগিং  প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের কুফল সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সচেতন করবে।

বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের কুফলসম্পর্কিত সিনেমা, কার্টুন, টিভি সিরিজ  প্রদর্শন, অনলাইনে দায়িত্বশীল আচরণের ব্যাপারে অনলাইন বিহেভিয়ার সম্পর্কিত কর্মশালা ইত্যাদিসহ সহপাঠ্যক্রমিক কর্মশালা আয়োজনের নিমিত্তে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। কর্তৃপক্ষ বুলিং ও র‌্যাগিং  প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ’-এ অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করবে। বুলিং ও র‌্যাগিং নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বুলিং ও র‌্যাগিং বিষয়ে পরীবীক্ষণ করবেন এবং নীতিমালা  বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।