হেদায়েত মণ্ডল : এক. নয় ছয় বুঝিয়ে রাজনীতির দিন ফুরিয়েছে বলা যায়। রাজনীতিতে এখন সুনির্দিষ্ট মিশন, ভিশন এবং পরিষ্কার এজেন্ডা তুলে ধরতেই হয়। কিন্তু বিএনপির ও অন্যান্য দলের পরিষ্কার এজেন্ডা ছিল না, যেনতেন বা নয়ছয় বুঝিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে, প্রতারণা করেছে বারবার।
দুই. সঠিক এবং পরিষ্কার ধারণা দিয়ে প্রজন্মকে সচেতন ও সোচ্চার করে তোলার ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল। এখন প্রজন্মকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যোগ্য হবার লড়াই করতে শিখিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার করে জাতিকে দারুন সচেতন করেছে।
তিন. প্রথম দৃষ্টান্ত, জাতিকে অধিকার সচেতন হতে শিখিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে আওয়ামীলীগ নিষ্পেষিত, নির্যাতিত মানুষকে সুনির্দিষ্ট করে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল। ফলে পুরো জাতি আওয়ামীলীগের পক্ষে ছিল, ১৯৬৯ এর ভোটের ফলাফল সেটার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সে সময় জাতি ভুল সিদ্ধান্ত নিলে স্বাধীন জাতি ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না।
চার. দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত হলো, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করে, দেশে বিদেশের স্বীকৃতি ও সম্মান অর্জন করে, নিঃস্ব দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ করে ঠিক তখনই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে দেশকে চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত করে, জাতির জীবনে দুর্দশা নেমে আসে। শুরু হয় অন্ধকার যুগ।
পাঁচ. তৃতীয় দৃষ্টান্ত হলো, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশ যখন ঘোর দুর্যোগে আক্রান্ত। বারবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ২০০৬, ২০০৭ এবং ২০০৮ সাল জাতির জীবনে অন্ধকারে আরেক অধ্যায়। ঠিক তখন আওয়ামীলীগ জাতির সামনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে যে, দেশের জন্য কি কি করবে। এই দিন বদলের সনদ প্রজন্মের ব্যাপক মনযোগ আকর্ষণ করে কেননা তারা বুঝতে পারে যে আওয়ামীলীগ যে পরিষ্কার পরিকল্পনা তুলে ধরেছে তাতে তার উপকার হবে। নির্বাচনে বিপুল ভোট প্রাপ্তি সে আস্থাকেই প্রকাশ করে। জাতির পছন্দ যে সঠিক ছিল প্রমাণ হলো বর্তমান মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ, জীবন মানের উন্নতি, নাগরিক মর্যাদা ও সম্মান প্রতিষ্ঠা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করা। ... কিন্তু জাতি ভুল সিদ্ধান্ত নিলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো বাংলাদেশ।
ছয়. ঠিক একই অবস্থা এখন বিরাজ করছে যে, জাতি উন্নত, মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে না কি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এটা প্রমাণিত যে বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রাখায় জাতির কোনো ক্ষতিই হয় নি। বরং উপকারই হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ও জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আবারও আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রাখার বিকল্প নেই, তাই স্বাধীনতা, সম্মান, মর্যাদা ও উন্নতির প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতেই হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক বাংলার মানুষের।
পথরেখা/আসো