অনেকে শক্তি সুদৃঢ় করতেই তাবিজ ব্যবহার করেন। কমবেশি অনেকেরই অভিজ্ঞতা আছে। তুলা রাশির জাতকরা এই তাবিজের কার্যকারিতাতে খুব বেশী রি-আ্যাক্ট করে। একবার বাবার এক ডক্যুমেন্টস হারিয়ে গেল। বাবার অফিসের এক ডিডরাইটার তিনি তুলা রাশির। মৌলভী সাহেব একটা কাঁসার বাটিতে তাবিজ দিয়ে সেই বাটি মাটিতে রেখে উপুর হয়ে বসে মুঠ করে হাত ঢুকিয়ে দেয়া মাত্রই তিনি আর নরম্যাল রইলেন না। তাকে ঐ বাটি টেনে নিয়ে চলল। দোতালা থেকে নীচে, এই বাড়িটা ছিল নীলকর সাহেবদের। বি-রা-ট, কত যে রুম। তাবিজের টানে সব শেষে নীচের যে ঘরে হরিণ থাকে সেখানের কোনাতে পাওয়া গেল বাবার হারিয়ে যাওয়া ডক্যুমেন্ট। পুরুষ হরিন টার মাত্র শিং উঠেছে তাই যাকে পায় তাকেই গুতুতে চায়। মা আর কাজের আফসার বাদে সবার প্রতিই তার আক্রমণ চলেই। আমার স্কুলের জামা গুতিয়ে ছেড়ার পর বাবা ওঁকে বেশ কয়েকটা থাপ্পর দিয়েছিল।
চিটাগং এ আছি। হঠাৎ রিনা আবিষ্কার করল আমার বালিশের ভিতর একটা তাবিজ , হন্মি তম্মি ত হলই। কেমনে তাবিজ ঢুকল বালিশে আমি বল্লাম অমি কি জানি ?রিনা প্রচন্ড অসন্তুষ্ট। তাবিজ চা পোড়াইয়া ফেল্ল।দুপুরে তাবিজ পুড়িয়েছে আর বিকালে ই আমার নাকে একটু সুড়সুড়ি দিয়ে সমানে রক্ত পরা শুরু হল একনাগাড়ে ৩০/৪০ সেকেন্ড। প্রায় এক গামলা রক্ত গেল। প্রতিদিন হচ্ছে রক্ত পাত। ডাক্তার ওষুধ দেবার পরও রক্ত পরা বন্ধ হল না। বন্ধু নবী কাছের মসজিদের ইমাম সাহেবকে নিয়ে আসলেন। তিনি আর একটা তাবিজ দিয়ে বল্লেন সাতদিন পরে থাকতে তারপর আবার যাতে ইমাম সাহেবকে ফেরত দিয়ে আসি। রক্ত পরা বন্ধ হল বললেন। কেন পোড়াতে গেলেন? আমাকে খবর দিতেন।
লিগের অভিজ্ঞতাতে বিশ্বাস করতেই হয়। একবার হকি প্রতিযোগিতা। ইন্টার স্কুল। ভালই খেলতাম। ৩/৪ গোলে জিতার কথা। এক বন্ধু তেল পরা নিয়ে এসেছে। তা আবার জিহ্বাতে লাগাতে হবে, অমি বললাম এমনিতেই জিতব , তেল পরা লাগবে না। তারপরও হা করে জিহ্বাতে এক মুঠো তেল লাগাল। খেলা শুরু হকি খেলা গুঁজো হতেই হয়। পিছলা তেলে জিহ্বা দাঁতের ফাঁক দিয়ে বেড় হয়ে যেতে চায়। আর দুই মাড়িতে তেল গিয়ে এক বিতিকিচরি অবস্থা। স্টিকে বল আটকাব না জিহ্বা সামাল দিব। যেখানে জিতার কথা সেখানে হেরেই গেলাম। হারার পর দোষ হল ওই যে বলেছিলাম জিহ্বাতে তেল লাগানোর দরকার নাই। তাই তেল কাজ করে নাই ।
পথরেখা/আসো