• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৭

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা -৭

বাবা ইউনিভার্সিটিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছিলেন। ড. মোহাম্মদ শহীদউল্লাহ ছিলেন প্রভোস্ট। খুব পছন্দ করতেন বাবাকে। বাবা যখন সাবরেজিস্ট্রার, তখন পোস্টিং হত বিভিন্ন জায়গায়। বাবার আমন্ত্রণে ড. মো. শহীদুল্লাহ প্রায় প্রতিটি  যায়গায় ওয়াজ করতে যেতেন। ডোমারে ড. শহীদউল্লাহ আসবেন। বাবা উনার জন্য হাতী ঠিক করেছেন নিয়ে আসার জন্য। ট্রেন থেকে নামার পর বাবা সহ ড. শহীদুল্লাহ হাতীতে উঠেছেন। হাতীর পিঠে ৪/৫ জন। এক মওলানা সাহেব হাতীতে যেতে চাইলে বাবা মানা করলেন। হাতী চলতে শুরু করলে মওলানা সাহেব ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে হাতীর লেজ ধরে উঠতে চাইলেন। লেজ ধরে ঝুলা ঝুলি হাতীর না-পছন্দ। পিছনে একা পা উঁচু করাতে মওলানা সাহেব ছিটকে পরে ব্যথা পেলেন। ওয়াজে যাবার পথে এ ঘটনা মওলানা সাহেব তিনি এলাকার পরিচিত। শহীদুল্লাহ সাহেব বাবাকে বললেন , শামসু চল আমরা হেঁটেই যাই। প্রায় দুই মাইল রাস্তা হেঁটে এসে তিনি ওয়াজ করলেন। শহীদুল্লাহর ছেলে শফিউল্লাহ বাবার বন্ধু, তিনিও এসে ছিলেন।
 
ডোমার, চিলমারি এ সব অঞ্চলে প্রচুর বিশাক্ত সাপ চষে বেড়ায়। সন্ধ্যা বেলা নীচে টুকটাক আওয়াজ। মা মুরগি পালতেন বড় একটা কামরার কোনে মুরগী খোলা খাচাতে থাকত। মনে করলেন কোন মুরগী হয়ত খাঁচার বাইরে। হ্যারিকেন নিয়ে ঐ ঘরে ঢুকে দেখলেন যেখানে ভাংগাটি তার নীচ থেকে আওয়াজ। ইঁদুর আছে মনে করে টিপয় টাতে পা দিয়ে ধাক্কা দিতেই মা যেদিকে তার উল্টা দিক থেকে মার প্রায় কমড় পর্যন্ত উঁচু হয়ে জাতি সাপ ফনা তুলে। মা জোরে বলল সাপ। বাবা আওয়াজ পেতেই বলল যেমনে আছ তেমনি থাক। দৌড় দিওনা। বলেই বন্দুকে কার্টুজ ভরতে ভরতে দৌড়ে এসে পরল। একক্ষণ মা হারিকেনটা সাপ আর নিজের মধ্যে স্থিরভাবে ধরে রেখেছিলেন। মা সব সময় ধৈর্যশীল। বাবা ঢোকা মাত্র সাপটা ফনা নামিয়ে ঘরের কোনাতে গর্তের ভিতর ঢুকতে শুরু করল। প্রায় ঢুকেই পরেছে। বাবা এরই মধ্যে গুলি চালিয়ে দিল। লেজে গুলি যে লেগেছে তার প্রমাণ হল সাপটা ওয়ালে লেজ দিয়ে বারি দিয়ে রক্ত ছিটিয়ে গর্তে ঢুকে গেল।
 
সন্ধ্যা বেলাতে গুলির আওয়াজ। আশে-পাশের সব অফিসার এসে হাজির। বলল- আপনি ইয়ং মানুষ। সাপকে সন্ধ্যা বেলাতে গুলি মারলেন মরল ত নাইই। রাত সামলাবেন কি করে? সাবরেজিস্ট্রার অফিসের অনেকেই কেউ শুকনো মরিচ পুরিয়ে। কেউ গর্তের মুখ কাপড় আটকে দিল। যে দরজা দিয়ে যাতায়াত। সে দরজাও যত খানি সম্ভব আটকানো হল, রাতে সাপ ঠি কই এসে ১০/১২ টা মুরগি মারল। হিংসায় অনেক মুরগির মাথা পর্যন্ত কামড়ে কামড়ে বিষে পিচ্ছিল করে ফেলল।
 
পরদিন বাসাতে লোক গিজ গিজ। হেড ক্লার্ক  সাহেব বাবাকে বললেন গর্ত খুড়ব। সাপের নিজের গর্ত করার মুরদ নাই। তাই ইন্দুর মাইরা ঐ গর্তেই থাকে। গর্ত খুরা আর শেষ হয় না। শেষ মেষ গর্তের কাছে শাবল দিয়ে বারি দিতেই সাপ ফনা তুলে বের হয়েই আবার গর্তে। সাবধানে গর্তের মাথা বারি দিয়ে ভেংগে দিতেই সাপ ফনা তুলে আক্রমনে রেডি। শাবল দিয়েই পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। সবাই বল্ল সময় মতন মারা পরেছে । নইলে কবে আপনাদের কাউকেই মেরে ফেলত।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।