• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:২৯

স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা- ১২

১৯৭০ সন, দেশ টগবগ করে ফুটছে পশ্চিম পাকিস্তানের হাজার ধরনের বৈষ্যম আর অত্যাচারে। সেই সময় পাকিস্তান হকি দল বিশ্ব জয় করে একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে ঢাকা আসল। বাবা শামসুদ্দিন চাকলাদার ছিলেন ইউনিভার্সিটি হকি ‘’ব্লু”, আমি তখন খেলি কম্বাইন্ড স্পর্টিংয়ে। কম্বাইন্ড ছিল আব্দুস সাদেক মহসিন সাব্বির- এ রকম দেশশ্রেষ্ঠ প্লেয়ারঠাসা।প্রতাপ শংকরের সাথে মন মালিন্যে এনারা ইস্পাহানি ক্লাবে চলে যান, ওখান থেকে মনে হয় কামাল স্পোর্টিং এ গিয়ে তারপর সাদেক ভাই আবাহনীর হকি ক্লাব বানান। তিনি ক্ষুরধার ফুটবলারও ছিলেন। আবাহনীর স্টপার ব্যাক খেলতেন।
 
বাবার সাথে ঢাকা স্টেডিয়ামের যেখানে সাংবাদিক গ্যালারি ওখান বসে ছিলাম। মাঠের একদম মধ্যে হওয়াতে সম্পূর্ণ খেলা বেশ আরাম করেই দেখেছিলাম। আব্বা খেলা দেখে বললেন, বাবা হকিত খুব একটা দেখি না। তবে আমাদের ছেলে সাদেক ত ওদের ঘুম হারাম করে দিল। এই যে হকির প্রতি টান বাড়ল তার পিছনে বাবার প্রচেষ্টাত আছেই। বাবা বলতেন সাদেকের খেলা দেখবে, দেখেও অনেক শিখা যায়। আমরা হকি খেলতাম মমিনবাগের মাঠে। এখানে ওয়ারি ক্লাবের প্লেয়ার পরে কর্মকর্তা মনুর বাসা। ওর বাবা আনোয়ার আলি ছিলেন শিক্ষা সচিব।
 
মমিনবাগ মধ্য দিয়ে রাস্তা ওপারে পুলিশ লাইন। তখন পুলিশ হকি দল সিলেটের প্লেয়ার দিয়েই শক্তিশালী, রামা, ডনডন, সেংগুলারা, ঠেংগুলারা এরা খেলত সাথে গোলকিপার মান্নান, মোহাম্মদ আলি দারুন দল। আমরা মমিনবাগের এক বিঘা ওয়াল দেয়া ফাঁকা মাঠে খেলি, রামা প্রাকটিসের সময় এসে  বলল, সাহাবউদ্দিন তোরা আমাদের সাথেই পুলিশ মাঠে খেলতে পারিস। 
 
আমাদের দল বড়ই, পরবর্তিতে বিচারপতি শরিফ উদ্দিন খেলতেন, মনু, লিয়াকত, ইনু  মামা, মিল্কি ভাই সবাই রাজার বাগের পুলিশ লাইনে। প্যারেড চলছে, শেষ হলে হকি খেলব! দেরি তাই ঘোড়ার আস্তাবল দেখতেছি, বিরাট উঁচু, মাথার উপরে। 
 
কি থেকে কি হল ইনু মামা হকি স্টিক দিয়ে সামনের ঘোড়ার পাছাতে এক খোঁচা, এত দ্রুত রিআ্যক্ট হবে কল্পনাও করি নাই। পিছনের দুপা তুলে হকি স্টিকে লাথি, তা উড়ে ত গেলই মামু ব্যথা পেলেন।স্বপন ভাইকে সবাই শ্রদ্ধা করে, রাকিব ভাই, তিনি পুলিশ দলের সিনিয়র এসে বললেন আপনারা খেললে আমাদেরও ভাল প্রাকটিস হয়। তবে ঘোড়াগুলি খুব ট্রেইনড। ওদের খোঁচাখুচি করতে মানা করে দিয়েন। ভাইয়া ইনু মামারে বললেন, ইনু মামা অবাক হয়ে ভাইকে বললেন, আর ঘোড়াটা যে লাথ্থি মারল সেইটা দেখলেন না, ভাইয়া শুধু বল্লেন আগামি কাল প্রাকটিসের সময় ঘোড়াটারে একটা লাথ্থি মাইরা দিয়েন।
(চলবে)
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।