• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৪৪

আনন্দের কেক সমাচার

জন্মদিন, উৎসব কোন উয্যাপন সবকিছু শুরু হয় কেক কেটে। এই ভ্যালেনটাইন দিবস, প্রেমের দিবস তাতেও কেক অর্ডারে থাকে মনের আকুতি যা কেকের উপর সুন্দর করে লিখে তারপর কেক-বক্স খোলার সাথে তা নাড়া দেয় উপস্থিত সবার মনকে। প্রশ্ন হল কবে থেকে নরম স্পন্জের মতন মন ভোলানো এই আদুরে খাবারটা বানানো শিখল মানুষ? কোন দেশ থেকে এই খাবারটা এল আমাদের বংগে।
 
এদেশে আসা পুর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসির সৌজন্যেই কেকের আগমন। বংগ তখনও মজে আছে ক্ষীর, পায়েস আর করে ভিজানো মিষ্টিতে। পাড়ায় পাড়ায় বেকারি হতে লেগে গেছে কয়েক শত বছর। ফ্রুট কেকের জনক রোমানরা, চিজ কেকের আবিষ্কার করে গ্রিসরা আর প্লাম কেকের উৎপত্তি মধ্যযুগে, ইংল্যান্ডে। অনেকেই জানে না, বেকিং বা ভাপানো বিষয়টির সব থেকে বড় অবদান মিশরীয়দের, রুটি এ মধুর মেশাত মিশরীয়রা, কেকের আঁকার হতো গোল আর উপরের অংশ হত সমতল। কেকে একটি গোপন উপাদান মেশাত রোমানরা আর কা হল ইষ্ট। ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালীয়রা আবার সংযোজন করে আটা ময়দা চিনি এ মাখন এর সাথে ডিম ফেটিয়ে মিশাত। তাতে কেক হত নরম ও হাল্কা।
 
টেস্ট হত আকর্ষণীয় তবে একে সময় লেগে যেত প্রচুর। সময় বাঁচাতেই শুরু হয় বেকিং সোডার ব্যবহার। আজকের কেকের জন্ম অষ্টাদশ শতাব্দিতে। মধ্যযুগে ইউরোপে যে কেকের আবিষ্কার তা এখন শহরের গলিখুজির বেকারতিতে পৌঁছে যাওয়া এক রূপকথাই, প্রতি মূহুর্তে এর নানা রকম বিবর্তন হচ্ছে। রসনা তৃপ্তির জন্য  শুধু ফল বা ফ্লেভার নয়, কাজু বাগাম, বরফি এমন কি রসমালাই দিতেও কেক তৈরি হচ্ছে। যত কেকের বৈচিত্র তত আগ্রহ আসবে ক্রেতার আর তাই নিত্ব নতুন উপাদানে সাজানো হচ্ছে কেক।
 
ভ্যালেন্টাইন প্রেম দিবস, প্রেমের কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। তাই সব বয়সের সব্বাই ফুলের সাথে কেক নিয়ে যাবে, প্রিয়ার অধর হতে যদি একটি চুম্বন পাই তবে এ জীবন আবার লাস্যময় হয়ে উঠবে। এমন আকুতি নিয়ে কেক হাতে কতজনই না যাবে আপন মানবির কাছে। প্রিয়ার মুখে তুলে দাও কেক, গাল কেন বাদ  হবে, গালেও কেক মেখে অধিকার আর দাবি আদায় হোক, জয়তু কেক।
পথরেখা/আসো
 
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।