জন্মদিন, উৎসব কোন উয্যাপন সবকিছু শুরু হয় কেক কেটে। এই ভ্যালেনটাইন দিবস, প্রেমের দিবস তাতেও কেক অর্ডারে থাকে মনের আকুতি যা কেকের উপর সুন্দর করে লিখে তারপর কেক-বক্স খোলার সাথে তা নাড়া দেয় উপস্থিত সবার মনকে। প্রশ্ন হল কবে থেকে নরম স্পন্জের মতন মন ভোলানো এই আদুরে খাবারটা বানানো শিখল মানুষ? কোন দেশ থেকে এই খাবারটা এল আমাদের বংগে।
এদেশে আসা পুর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসির সৌজন্যেই কেকের আগমন। বংগ তখনও মজে আছে ক্ষীর, পায়েস আর করে ভিজানো মিষ্টিতে। পাড়ায় পাড়ায় বেকারি হতে লেগে গেছে কয়েক শত বছর। ফ্রুট কেকের জনক রোমানরা, চিজ কেকের আবিষ্কার করে গ্রিসরা আর প্লাম কেকের উৎপত্তি মধ্যযুগে, ইংল্যান্ডে। অনেকেই জানে না, বেকিং বা ভাপানো বিষয়টির সব থেকে বড় অবদান মিশরীয়দের, রুটি এ মধুর মেশাত মিশরীয়রা, কেকের আঁকার হতো গোল আর উপরের অংশ হত সমতল। কেকে একটি গোপন উপাদান মেশাত রোমানরা আর কা হল ইষ্ট। ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালীয়রা আবার সংযোজন করে আটা ময়দা চিনি এ মাখন এর সাথে ডিম ফেটিয়ে মিশাত। তাতে কেক হত নরম ও হাল্কা।
টেস্ট হত আকর্ষণীয় তবে একে সময় লেগে যেত প্রচুর। সময় বাঁচাতেই শুরু হয় বেকিং সোডার ব্যবহার। আজকের কেকের জন্ম অষ্টাদশ শতাব্দিতে। মধ্যযুগে ইউরোপে যে কেকের আবিষ্কার তা এখন শহরের গলিখুজির বেকারতিতে পৌঁছে যাওয়া এক রূপকথাই, প্রতি মূহুর্তে এর নানা রকম বিবর্তন হচ্ছে। রসনা তৃপ্তির জন্য শুধু ফল বা ফ্লেভার নয়, কাজু বাগাম, বরফি এমন কি রসমালাই দিতেও কেক তৈরি হচ্ছে। যত কেকের বৈচিত্র তত আগ্রহ আসবে ক্রেতার আর তাই নিত্ব নতুন উপাদানে সাজানো হচ্ছে কেক।
ভ্যালেন্টাইন প্রেম দিবস, প্রেমের কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। তাই সব বয়সের সব্বাই ফুলের সাথে কেক নিয়ে যাবে, প্রিয়ার অধর হতে যদি একটি চুম্বন পাই তবে এ জীবন আবার লাস্যময় হয়ে উঠবে। এমন আকুতি নিয়ে কেক হাতে কতজনই না যাবে আপন মানবির কাছে। প্রিয়ার মুখে তুলে দাও কেক, গাল কেন বাদ হবে, গালেও কেক মেখে অধিকার আর দাবি আদায় হোক, জয়তু কেক।
পথরেখা/আসো