বাঙালিদের কাছে পাহাড় আর সমূদ্র দূর আত্মীয়ের মতন। সব সময় কাছে পাওয়া যায় না। আর পাওয়া যাওয়ার সময়টুকু আজীবন মনের গভীরে জ্বলজ্বল করে রাঙিয়ে থাকে। আর েএীদের ছুটি মানেই কক্সবাজার উৎসবমুখর পরিবেশ।
কক্সবাজার, পাহাড় আর সমূদ্র দুটোরই সান্নিধ্য পাওয়া যায় তাই পর্যটকদের আগ্রহ লেগেই থাকে। ১৯৪৭ সে ক্যাপ্টেন এডভোকেট ফজলুল করিম কক্সবাজারকে বোম্বে আর করাচির সি-বিচের আদলে আকর্ষণীয় করার প্রচেষ্টা নেন। আর এ জন্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন আর রকফেলার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা পান। ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল টিএইচ ম্যাথিউস আর সরকারি ইঞ্জিনিয়ার চান্দি চরন দাস বিদেশি সাহায্য আদায়ে অক্লান্ত কাজ করেন। বর্তমান জন সংখ্যা প্রায় দুই লাখ আর এরা পর্যটকদের আনাগোনায় অভ্যস্ত। প্রথম সারির হোটেল প্রচুর রয়েছে।
সেনাবাহিনীর নিজস্ব রিসোর্ট জলতরঙ্গ আছে। সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, আর সার্ভিস অতিথিদের আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। এই আর্মি রিসোর্ট অবস্থানকালীন সময়কে স্মৃতিতে গেথে রাখতে আর কি চাই। শুধু তাই নয় বিমানবন্দর থেকে জলতরঙ্গে নির্বিঘ্নে চলে আসতে গাড়ির ব্যবস্থা আছে। এই কক্সবাজারে এবার ঈদ-ছুটি কাটাতে বড় ছেলে মোবাশ্বের স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বহুবার যেতে চেয়েছি। বড় নাতনি সুরায়না সমূদ্রে নেমেছে তবে ছোট সাররিনাহ নামেনি। এবার ইনশাল্লাহ।
কোথায়ও যেতে হলে বাক্স পেটরা বাঁধা বাধি হল অপ্রয়োজনীয় হট্টগোল শুরুর পারিবারিক সিলেবাস। সমূদ্র অবগাহনে আমরা ইউরোপীয় দের মতন খুল্লাম খুল্লাম হতে পারিনা। তবে আধুনিক হবার চেষ্টা আর- কি ছিনুরে আর কি হনুরে; এই গুষ্টির সদস্যরা স্বল্প পোষাকে জল কেলির আনন্দ সব্বাইকে বিতরণ করে -আ হা!
স্বল্প বাক্স পেটরা নিতে হলেও দাদুমনি সুরায়না আর সাররিনাহর পোষাক আলাদা স্যুটকেস ভরে যায়। বুঝিয়ে বলতে গেলাম, কক্সবাজার থেকেই ওদের জন্য নতুন পোষাক কিনা হবে, এত পোষাক নেবার কি দরকার? ওরা তাইলে ন্যাংটাই যাক; এই উক্তি শুনে অল্প দুঃখে কাতর, অধিক শোকে পাথর হয়ে গেল। সমুদ্রে সব সময় শিশুদের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখলেই সমুদ্র-স্নানের মজা পুরপুরি উপভোগ করা যায়। ইউএস বাংলাতে যাওয়া আর আসা। ঢাকার বাইরে ঈদ, পথরেখার পাঠক; সতীর্থ বন্ধুদের জন্য আগাম ঈদ মোবারক।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় হকি দল ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো