• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০১

ট্রুডোকে শিক্ষার্থীদের ভিসা দিতে অনুরোধ ড. মুহম্মদ ইউনূসের

মৃণাল বন্দ্য, কানাডা থেকে : বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীর বিধিমালা আরও কঠোর করতে যাচ্ছে কানাডা। দেশে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গত সপ্তাহে এমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আরও ভিসা দিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ অনুরোধ করেন।
 
এ সময় বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার দেয়ালে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতি চিত্রের একটি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ উপহার হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ড. ইউনূস। তিনি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কানাডা সরকারের সমর্থনের জন্য প্রশংসা করেন।
 
এর আগে এক্স-এ দেয়া পোস্টে ট্রুডো বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যয়নের অনুমতির সংখ্যা আরও কমিয়ে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদেশি কর্মীর বিধিমালাগুলোকে আরও কঠোর করা হবে। আমরা এই বছর ৩৫ শতাংশের কম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনুমতি দিচ্ছি। পরের বছর, এই সংখ্যা আরও ১০ শতাংশ কমে যাবে। অভিবাসন আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি সুবিধাজনক বিষয়। কিন্তু যখন খারাপ কর্তাব্যক্তিরা এই সুবিধার অপব্যবহার করে এবং শিক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি সুবিধা নেয়, তখন আমরা গোটা প্রক্রিয়ার ওপর ক্র্যাক ডাউন করতে বাধ্য হই,’ 
 
অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুসারে, কানাডা ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ শিক্ষার্থী এবং চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জনকে অনুমোদন দিয়েছে। তবে নতুন পদক্ষেপের ফলে ২০২৫ সালে ইস্যু করা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর অনুমোদিত সংখ্যা ৪ লাখ ৩৭ হাজার থেকে কমে আসতে পারে।
 
নীতিমালার পরিবর্তনগুলো কিছু শিক্ষার্থী এবং তাদের স্বামী/স্ত্রীর কাজ করার অধিকার কমিয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বসবাসরত বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা কঠোর করা হতে পারে। এবং সীমিত করা হবে কাজের পরিধি। ঘোষণাটি এমন সময় আসে যখন ট্রুডোর লিবারেল সরকার আগামী বছরের ফেডারেল নির্বাচনের আগে জনমত জরিপে পিছিয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং বিদেশি কর্মীসহ অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর দাবি উঠছে দেশটিতে।
 
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফায় কঠোরতা আরোপ করে কানাডা। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা’র মতে, অভিবাসন সংখ্যার সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে অস্থায়ী বাসিন্দাদের- বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং অস্থায়ী বাসিন্দাদের কারণে। তাদের সংখ্যা গত দুই বছরের মধ্যে দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ২৮ লাখ।
 
কানাডা ইতোমধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমিয়ে মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা চলতি বছরের এপ্রিলে বেড়ে হয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশে। সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন সংকট এবং কানাডায় বসবাসের ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ সামাজিক সমস্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে অতিরিক্ত অভিবাসীদের।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।