• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
    ২৯ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:০৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় হুয়াওয়ের বড় সাফল্য

পথরেখা  অনলাইন :  ক্লাউড প্রযুক্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বড় সাফল্যের দেখা পেয়েছে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গত পাঁচ বছরে দেশটিতে হুয়াওয়ের ক্লাউড বিজনেস বেড়েছে ১৬ গুণ এবং এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজারেরও বেশি গ্রাহককে ক্লাউড ভিত্তিক সেবা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই প্রেক্ষাপটে দেশটিতে নিজেদের ব্যবসা বিস্তৃত করে আয় বৃদ্ধি করতে আরও বেশি ক্লাউড সলিউশন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে হুয়াওয়ে। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা। হুয়াওয়ের ক্লাউড সলিউশনের গ্রাহক তালিয়ায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, টেলিকম ও ই-কমার্স খাতের বিভিন প্রতিষ্ঠান।   

সম্প্রতি জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে হুয়াওয়ের ক্লাউড সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে হুয়াওয়ে ক্লাউডের গ্লোবাল মার্কেটিং ও সেলস সার্ভিস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাকলিন শি আগতদের বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে শক্তিশালী সমর্থন পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের ক্লাউড ব্যবসা গত পাঁচ বছরে ১৬ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্তমানে ক্লাউড প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সলিউশন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে মূল কারণ হলো দ্রুততর কম্পিউটিং এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা। আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সরকারি পর্যায়েও তাই বড় আকারের ক্লাউড অপারেশনের বিশাল চাহিদা রয়েছে দেশটিতে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্লাউড প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা সামনের বছরগুলোতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আফ্রিকা অ্যানালিসিস-এর মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্লাউডের বাজার ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রতি বছর ২৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায়  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতাও ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে ক্লাউড ডেটা সেন্টারের চাহিদাও উত্তরোত্তর আরও বাড়বে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দেশটিতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়েই প্রথম স্থানীয় ‘হাইপারস্কেল’ ক্লাউড ডেটা সেন্টার হোস্ট করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে মাইক্রোসফট, অ্যামাজন ও গুগলের মতো শীর্ষ ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। উল্লেখ্য, জোহানেসবার্গে বর্তমানে তিনটি ডেটা সেন্টার জোন বা লোকেশন রয়েছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।