• বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৫
    ১৮ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:১০
ইউনিসেফের রিপোর্ট

বিশ্বে প্রতি ৫ জনে একজন শিশু যুদ্ধের শিকার

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪       
  •       
  • ২৯-১২-২০২৪, ২২:১৮:০৮

পথরেখা  অনলাইন :  যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি বিশ্বের নানা প্রান্তে বেড়েছে যুদ্ধবিগ্রহ। সঙ্গে বেড়েছে  শিশুদের প্রতি সহিংসতা। এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।  বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের একজন শিশু যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার।

সম্প্রতি এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছে  জাতিসংঘ।

শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান কার্যনির্বাহী ক্যাথরিন রাসেল যুদ্ধবিদ্বস্ত শিশুদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ইউনিসেফের ইতিহাসে ২০২৪ সাল যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের জন্য এক ধ্বংসাত্মক বছর। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ অঞ্চলে থাকা শিশুদের তুলনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি।

সম্প্রতি কমবয়সী মহিলা এবং মেয়েদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এনেছে ইউনিসেফ।

২০২৪ সালে আফ্রিকার দেশ হাইতি’তে নারী নির্যাতন বেড়েছে প্রায় এক হাজার গুণ।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ৪৭ কোটি ৩০ লাখ শিশু যুদ্ধের ভয়াল থাবার সম্মুখীন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ। ১৯৯০ সালের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত  শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। ২২ হাজার ৫৫৭ জন শিশুর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া ৩২ হাজার ৯৯০টি মারাত্মক সহিংসতার ঘটনা প্রামাণ্য আকারে উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত কমপক্ষে ৪৫ হাজার মানুষের মধ্যে শতকরা ৪৪ শতাংশই শিশু। গাজায় বর্তমানে তীব্র মানবিক সংকট চলছে। খাবার, নিরাপদ পানি, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবার তীব্র সংকটে গাজা উপত্যকা। জুলাই-এ সেখানে মহামারি আকার ধারণ করে পোলিও।

যদিও এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে গাজায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দেয়  জাতিসংঘ।

তাছাড়া রাশিয়া ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে ইউক্রেনে যে নৃশংসতা চালিয়েছে, তাতে যে পরিমাণ শিশু আক্রান্ত হয়েছে তাদের সংখ্যা ২০২৩ সালে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। গাজা ছাড়াও বিশ্বের ৪০ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার শিশুরা তীব্র মানবিক সংকটে আছে এমন তথ্যও দিয়েছে জাতিসংঘ।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।