• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩২

কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

  • মত-দ্বিমত       
  • ২৬ মার্চ, ২০২২       
  • ১৩৫
  •       
  • ২৬-০৩-২০২২, ১৩:৩৭:০৬

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক : বেকারত্বের হার হ্রাসে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  তিনি শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভাটের চর দেওয়ান এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষায় বেশি মনোযোগ দিয়েছে সেই দেশ তত উন্নত-সমৃদ্ধ হয়েছে। জার্মানির মত উন্নত দেশে শতকরা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তারা (উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কারিকুলাম ঠিক করুক।’ তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সরকার কারিকুলাম পরিবর্তন করলেও উচ্চশিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের মাধ্যমে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রয়োগিক শিক্ষা  নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কারিকুলাম নিয়ে ভাবুক। তারা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি করুক। কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কারিকুলাম ঠিক করুক।  সেই কাজের জগতে ইন্টার্নি করার ব্যবস্থা করুক। তাতে শিক্ষার্থীরা কর্ম-উপযোগী হয়ে বের হবে।’ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মডিউলার এডুকেশন ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবার আস্ত একটা বড় ডিগ্রি করার দরকার  নেই। শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট করে নতুন নতুন দক্ষতা শিখে নেবে। ছোট ছোট ডিপ্লোমা করবে, কিছু সার্টিফিকেট কোর্স করবে, বড় ডিপ্লোমা করবে যার যেমন সুবিধা। শেখার জন্য সবাই কাজের জায়গা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে কারণে অনলাইন অফ লাইন মিলিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনে যুক্ত হবে। সেই ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছি।’ 
 
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বড় প্রবণতা আছে সব শিক্ষার্থী চায় অনার্স-মাস্টার্স পড়তে। পৃথিবীর কোথাও এতো অনার্স মাস্টার্স পড়ে না। একটি পর্যায়ের পর অনেক শিক্ষার্থীরা বৃত্তিমূলক, কারিগরি শিক্ষায় চলে যাবে। জার্মানির মতো উন্নত দেশে শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সেই পথে হাঁটতে হবে। এ কারণে দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চেষ্টা করছি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলেতে কর্ম-উপযোগী শিক্ষা দেওয়া নিশ্চিত করা যায়। যে শিক্ষার্থী অনার্স বা মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে বের হয়, সে যেন কাজের জগতের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করে বের হয়। তার যেন চাকরি পেতে সমস্যা না হয়, উদ্যোক্তা হতে চাইলে উদ্যোক্তা হতে পারে।’
দেশকণ্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।