• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:৩৮

ফজলুল হক মহিলা কলেজের উদ্যোগে গণহত্যা দিবস পালিত

  • মত-দ্বিমত       
  • ২৭ মার্চ, ২০২২       
  • ২৬৫
  •       
  • ২৭-০৩-২০২২, ১৪:৪৩:৪৭

এম এ সাত্তার পিন্টু : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও হামলার স্মরণে  যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘গণহত্যা দিবস’ দিবস পালন করেছে ফজলুল হক মহিলা কলেজ। এ দিবস উপলক্ষে কলেজ চত্বরের স্থাপিত অডিটোরিয়ামে ‘স্মৃতিচারণ ও আলোচনা’ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ দিলারা খানম।
 
২৫ মার্চ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার এবং ফজলুল হক মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহীদুল্লাহ মিনু। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান ইরন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান দুলু, আবুল কাশেম, সেকান্দর আলী বাদল, ডা. নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।  কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ছাত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
 
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর বাঙালিদের সরকার গঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইট-এর নামে গণহত্যা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস জুড়েই হানাদার বাহিনীর এই হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন অব্যাহত ছিল।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শহীদুল্লাহ মিনু ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ জুড়েই বধ্যভুমি এবং গণকববর ছড়িয়ে আছে এবং এখনও নতুন নতুন বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই গণহত্যার যথাযথ স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান। 
দেশকণ্ঠ/আসো
 
 
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।