এম এ সাত্তার পিন্টু : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও হামলার স্মরণে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘গণহত্যা দিবস’ দিবস পালন করেছে ফজলুল হক মহিলা কলেজ। এ দিবস উপলক্ষে কলেজ চত্বরের স্থাপিত অডিটোরিয়ামে ‘স্মৃতিচারণ ও আলোচনা’ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ দিলারা খানম।
২৫ মার্চ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার এবং ফজলুল হক মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহীদুল্লাহ মিনু। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান ইরন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান দুলু, আবুল কাশেম, সেকান্দর আলী বাদল, ডা. নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মোতালেব প্রমুখ। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ছাত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর বাঙালিদের সরকার গঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুখ্যাত অপারেশন সার্চলাইট-এর নামে গণহত্যা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস জুড়েই হানাদার বাহিনীর এই হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন অব্যাহত ছিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শহীদুল্লাহ মিনু ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ জুড়েই বধ্যভুমি এবং গণকববর ছড়িয়ে আছে এবং এখনও নতুন নতুন বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই গণহত্যার যথাযথ স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশকণ্ঠ/আসো