দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২ জেলার পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাট জেলার পরীক্ষা হবে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ ও কাজীপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর ও শার্শা, ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরিপুর, হালুয়াঘাট ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, বারহাট্টা, দূর্গাপুর, কলমাকান্দা ও কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ ও কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের সদর, ভূঞাপুর, দেলদুয়ার, নবাবাড়ী, ঘাটাইল ও গোপালপুর, কুমিল্লার বরুড়া, ব্রাক্ষ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম সদর, মেঘনা ও দাউদকান্দি, নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি ও সূবর্ণচর উপজেলার পরীক্ষা হবে। এসব উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানায় অধিদপ্তর।
এছাড়া, ২০ মে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৮ জেলার সব এবং ২২ জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ জুন তৃতীয়ধাপে ৩১ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব ১৪টি জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি ধাপের পরীক্ষাই শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠতি হবে। বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬, অনুমোদিত শিক্ষকপদ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৭০১টি। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। তিন ধাপে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮১১টি। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে তিনটি ধাপে মোট ৬১টি জেলায় লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে।মন্ত্রণালয় জানায়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ