পথরেখা অনলাইন : ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। শুক্রবার দ্বিতীয় শ্যাচে মাঠে নামছে এশিয়ার পরাশক্তি পাকিস্তান ও ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস। শক্তির বিচারে যোজন যোজন দুরত্বে এগিয়ে থাকবে বাবর আজমের দল। অন্যদিকে ভারত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবেই মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস। তবে ক্রিকেটে গৗরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বিধায় জয়ের আশা না করাটা বোকামি। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অনিশ্চিত অবস্থাটা আরও বেশি করে প্রযোজ্য। ভারতের মাটিতে খেলা বলে এবার পাকিস্তানও ফেবারিট। কারণ, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কন্ডিশনের তো খুব একটা পার্থক্য নেই। তা ছাড়া এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে দুই তারা। ভারতের পরই পাকিস্তান। তা ছাড়া দলের বোলিং আক্রমণে রয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো পরীক্ষিত পেসার। যদিও ব্যাটিং নিয়ে দুঃচিন্তা কমেনি দলটির। তবে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা দারুণ ফর্মে। তবে পাকিস্তানের আস্থার জায়গা তাদের ক্যাপ্টেন। বাবর আজম কি হতে পারবেন ’৯২-এর ইমরান খান! তার প্রথম পরীক্ষা আজকে মাঠে দিতে হবে।
হায়দারাবাদে দুই দলের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন ডাচদের। শক্তির বিচারে কাগজে-কলমে ‘দুর্বল’ দল নেদারল্যান্ডস। তবে ডাচদের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া! এ বিশ্বকাপে তাদের সেমিফাইনালে খেলার সামর্থ্য আছে বলে হুঙ্কার দিয়েছে দলটি। কয়েকদিন আগে নেদারল্যান্ডের কোচ বলেছেন, ‘আমার লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এবার ৫-৬টা ম্যাচ জিতলেই তো শেষ চারে যাওয়া যাবে।’ ওয়েসলি বারেসির ব্যাটের দিকে তাকিয়ে নেদারল্যান্ডস। তার ব্যাট হাসলে হাসবে পুরো দেশ। দলের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে এমনটি করেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই কোচ জানেন বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলতে হলে যে ধরনের শক্তিমত্তার প্রয়োজন রয়েছে সেটা যে তার দলের নেই। দল হিসেবে পাকিস্তান ভারতে এত আতিথেয়তা পাবে এটা নাকি কখনো আশা করেননি বাবর আজম। ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ কখনো মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠের থেকেও মাঠের বাইরের খেলায় বেশি মগ্ন থাকেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে আবারো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে পাকিস্তান। সেই পা রাখতেও অনেক বেগ পেতে হয়েছে ভিসা জটিলতার কারণে। শেষমেষ ভারতে খেলতে আসতে পারে অসম্ভব খুশি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। আসর শুরুর একদিন আগে বুধবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ক্যাপ্টেনস ডে’তে আইসিসির সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান বাবর আজম। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা ভালো আতিথেয়তা পেয়েছি যা আমরা কখনো আশা করিনি কিন্তু এখানকার মানুষ আমাদের প্রতি যেভাবে সমীহ দেখিয়েছে সেটা আমাদের সবাই বেশ উপভোগ করেছে।’ ভারতের দর্শকদের দারুণ সমর্থন পেয়ে ভারতকে নিজেদের ঘরের মাঠই মনে হচ্ছিল বাবর আজমের। এটা তার কাছে বড় অর্জন বলেও মনে করছেন।
বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের মতে, ‘আমরা হায়দারাবাদে এক সপ্তাহের মত আছি, আমাদের মনে হয়নি আমরা ভারতে আছি, আমরা নিজেদের ঘরেই ছিলাম এমন মনে হয়েছে। আমরা সময়টা বেশ উপভোগ করছি। এটাই আমাদের দারুণ সুযোগ নিজেদের শতভাগ সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপে পারফর্ম করা।’ এছাড়া ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ‘অন্যরকম’ বার্তা দিলেন বাবর। ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই। ভারত সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চে। ৫০ ওভারের এ আসরে অংশ নিচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ১০ দল। প্রতিটি দলই স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামছে। তবে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধী ভারত-পাকিস্তান লড়াই! ভারতের মাটিতে খেলা বলে এবার পাকিস্তানও ফেবারিট। কারণ, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কন্ডিশনের তো খুব একটা পার্থক্য নেই। তা ছাড়া এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে দুই তারা। ভারতের পরই পাকিস্তান।
তা ছাড়া দলের বোলিং আক্রমণে রয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফের মতো পরীক্ষিত পেসার। যদিও ব্যাটিং নিয়ে দুঃচিন্তা কমেনি দলটির। তবে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা দারুণ ফর্মে। ক্যাপ্টেনস ডে তে উঠে এলো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গটাও। ১৪ অক্টোবরের এই ম্যাচটির জন্য মুখিয়ে থাকার কথায় বলেছেন বাবর। বাবরের কাছে প্রশ্ন ছিল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কেমন রোমাঞ্চিত তিনি। উত্তরে বাবর বলেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই রোমাঞ্চিত। ১৪ অক্টোবরের আগে আমাদের আরও দু’টি ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে আগাতে চাই। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময় বড়। সবাই এ ম্যাচের অপেক্ষায় আছে।’ ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। প্রতিবেশী দেশে সবশেষ এসেছিল ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুবাদে। টুর্নামেন্টের আগে বিশেষ কোনো চাপ বোধ করছেন কি না জানতে চাইলে বাবর বলেছেন, ‘দেখুন, তেমন কোনো চাপ নেই। এখানকার কন্ডিশন পাকিস্তানের মতোই। আর আমরা এখানে এক সপ্তাহ আগে এসেছি এবং আমরা এখানে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। তেমন কোনো পার্থক্য এখানে দেখছি না’।
পথরেখা/আসো