• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:০৩

ফিরে দেখা : ২০০৩ অস্ট্রেলিয়া-ভারত ফাইনাল

পথরেখা অনলাইন : শ্রেয়তর দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। শিরোপার দাবীদার তারাও। প্রথমবার কপিল দেবের নেতেৃত্বে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘ ২৮ বছর। ২০১১ সালে এমএস ধোনির নেতৃত্বে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে ভারত। যদিও সেই ব্যবধানটা আরও কম হতে পারত। ২০০৩ সালে ভারতকে ট্রফির খুব কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ফাইনালে ওঠে ভারত। কিন্তু প্রতাশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন দলটির। রবিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে এবারের ফাইনাল। এর আগে ঘুরে দেখা যাক দুই দশক আগের সেই ম্যাচ থেকে। ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ, জোহানেসবার্গ। ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া রীতিমত তুলোধুনা করে ভারতীয় বোলারদের। রিকি পন্টিংয়ের দুর্দান্ত শতরানে অজিরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটের ৩৫৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। পন্টিং ৪টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১২১ বলে ১৪০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৭ রান করেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
 
ম্যাচে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ বলে ৩৭ রান করেন ম্যাথু হেডেন। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৮৮ রান করে নট-আউট থাকেন ড্যামিয়েন মার্টিন। ভারতের হয়ে ৮ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ২টি উইেকট নেন হরভজন সিং। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ১২৫ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে কার্যত একা লড়াই করেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তিনি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮১ বলে ৮২ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ বলে ৪৭ রান করেন রাহুল দ্রাবিড়। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ২৪ রান করেন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ বলে ২৪ রান করেন যুবরাজ সিং। শচিন টেন্ডুলকর ৪, দীনেশ মোঙ্গিয়া ১২, হরভজন সিং ৭, জাহির খান ৪, জাভাগল শ্রীনাথ ১ ও নেহরা অপরাজিত ৮ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি মোহাম্মদ কাইফ। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ৫২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন ব্রেট লি ও অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ১টি করে উইকেট নেন ব্র্যাড হগ ও অ্যান্ডি বিকেল। দুই দলক আগের সেই হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত। সেবার ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ অধরা থেকে যায় রাহুল দ্রাবিড়ের। কোচ হিসেবে সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে পারেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে ক্রিকেট বিশ্বের।
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।