• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:০৫

বিশ্বকাপে এবার ভারতের নিউজিল্যান্ড পরীক্ষা

পথরেখা অনলাইন : ওয়ানডে বিশ্বকাপ বরাবরই ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ নিউজিল্যান্ড। হিসেবে সমীকরণে বারবার এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তবে চলতি আসরে  এ পর্যন্ত  ১৮টি ম্যাচ শেষে দশ দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত অপরাজিত স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দু’দলই  ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ২২ অক্টোবর ভারত পাচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে। অপরাজিত থাকার লক্ষ্যে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না দু’দল। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।
 
পরপর ৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচে হারিয়েছিল ভারত। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডও নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। এরপর একে-একে নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে ধরাশায়ী করে কিউইরা। ৪ ম্যাচে সবগুলোতে জিতে সমান ৮ করে পয়েন্ট আছে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়স্থানে আছে ভারত। এবার একে অপরের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের দুই অপরাজিত দল নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ম্যাচের নিষ্পতি হলে যে দলই হারবে গা থেকে অপরাজিত থাকার তকমাটা মুছে যাবে তাদের। কিন্তু নিউজিল্যান্ড-ভারত দু’দলের কেউই অপরাজিত থাকার তকমাটা হাতছাড়া করতে চাইছে না। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মরিয়া দু’দল।
 
ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার বলেন, ‘যেভাবে প্রথম চার ম্যাচ জিতেছি আমরা, সেটি অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। চার ম্যাচেই প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে দল। জয়ের এই ধারাটা আমরা ধরে রেখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও জিততে চাই আমরা। নিউজিল্যান্ডও ভালো খেলছে। তাদেরও চারটি জয় আছে। এ ম্যাচটি বেশ প্রতিন্দ্বন্দিতাপূর্ণ হবে। কোন দলই কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। ম্যাচ জয়ের জন্য সবসময়ের মত মাঠে আমরা নিজেদের সেরাটা উজার করে দেবো।’
 
দারুণ ছন্দে থাকা ভারতকে থামানো অবশ্যকঠিন বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। তিনি বলেন, ‘ঘরের মাঠে ভারতকে হারানো খুবই কঠিন হবে। তারা দারুণ খেলছে। চার ম্যাচেই প্রতিপক্ষ বিপক্ষে দাপটের সাথে জিতেছে ভারত। প্রতিপক্ষকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করে নামছে এবং ম্যাচে সেগুলো বাস্তবায়ন করছে ভারত। আমরা ভারতকে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। ভারতের তুলনায় সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে আমাদের জন্য জয় অসম্ভব নয়।’ সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নেওয়া নিউজিল্যান্ডের স্যান্টনার, ‘ধর্মশালার উইকেটের চরিত্র, পরিবেশ এসব কিছু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এখানকার উইকেট  খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এর আগে দেখা গেছে ধর্মশালার উইকেটে কিছুটা গতি ও বাউন্স ছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও সেটি থাকবে কি-না, তা দেখতে হবে আমাদের।’
 
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের সেরা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে পাচ্ছে না ভারত। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পায়ের গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়েন পান্ডিয়া। এরপর আর মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি।পান্ডিয়ার ইনজুরি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, পান্ডিয়ার ইনজুরি খুব বেশি গুরুতর নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে না পারলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পড়া আঙুলের ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সামনে আরও দু’টি ম্যাচ উইলিয়ামসন মিস করবেন বলে জানিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট।  
 
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১১৬ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে ভারত। ৫৮ ম্যাচে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ৫০ ম্যাচে জয় আছে নিউজিল্যান্ডের। বাকী ১টি ম্যাচ টাই ও ৭টি পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ৯বারের মোকাবেলায় ৫ ম্যাচে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের জয় আছে ৩টিতে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে সর্বশেষ ওয়ানডেতে দেখা হয় ভারত ও নিউজিল্যান্ডের। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটয়াশ করে ভারত।
 
ভারত দল : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, ঈশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, শারদুল ঠাকুর, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।
 
নিউজিল্যান্ড দল : টম লাথাম (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি, উইল ইয়ং।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।