• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৩২

আশা বাচিঁয়ে রাখতে চায় বাংলাদেশ

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : মুম্বাই থেকে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে সবাই যখন কলকাতার বিমানে উঠেছেন তখন সাকিব আল হাসানের গন্তব্য বাংলাদেশ! দলকে রেখে একা দেশে এসে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর দেশে দুদিন অনুশীলন করে ফিরে যান কলকাতায়। এখানেই শনিবার নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ইউরোপের দলটিকে হারিয়ে আশা বাচিঁয়ে রাখতে চায় লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। টানা ম্যাচ হারের বৃত্ত ভাঙ্গতে চায় দল। এই ম্যাচ দিয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেরও বিশ্বকাপ অভিষেক হচ্ছে। এদিকে  বাংলাদেশের সাবেক কোচ সাকিবদের হারাতে ছক কষছেন। পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয়। বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন একপ্রকার শেষই বলা যায়। লিগ পর্বের বাকি ৪ ম্যাচ শুধু জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর দিকেও। এমন সমীকরণে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানদের জন্য ম্যাচটি কঠিন হতে পারে সাবেক কোচের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার রায়ান কুক বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তার হাতেই প্রতিপক্ষ শিবিরের দায়িত্ব বর্তেছে।
 
এতেই আশা দেখছে কমলা শিবির। বর্তমানে নেদারল্যান্ডস দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন কুক। কুকের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে বাংলাদেশকে হারানোর ছক আঁকছেন বলে জানিয়েছেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এডওয়ার্ডস বলেন, ’রায়ান কুক বাংলাদেশের কোচ ছিল, অবশ্যই এটা আমাদের সহায়তা করছে। সে বাংলাদেশের সাথে অনেক দিন কাজ করেছে। অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চেনে। এই দল সম্পর্কে যা জানে সেসব আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।’ তবে কুক যখন বাংলাদেশের কোচ ছিলেন, তখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়দের। তাইতো বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা নেই কুকের। এডওয়ার্ডস চান নিজেদের ধারার ক্রিকেট খেলতে। এডওয়ার্ডস বলছিলেন, ’গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আমাদের নিজেদের স্কিল কাজে লাগাতে হবে। আমরা আমাদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেট নিয়ে অনেক গর্বিত। বিগত দিনে যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি এই ম্যাচেও সেটি অব্যহত থাকবে’।
 
এদিকে নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে সুখবর পেল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার আগে সুসংবাদ এসেছে টাইগার শিবিরে। সবশেষ দুই ম্যাচে ইনজুরির কারণে দলে না থাকা তাসকিন আহমেদ ফিরতে যাচ্ছেন এই ম্যাচে। ম্যাচের আগের দিন কলকাতায় সংবাদ সম্মেলনে এসে এই পেসার শুনিয়েছেন এমন আশার বাণী। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে কাঁধের চোটের কারণে খেলতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও মাঠে নামতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলেছেন তাসকিন। এর মধ্যে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় ওভার করে বল করেন তাসকিন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে করেন ৮ ওভার। তিন ম্যাচে কেবল দুটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় বাঁ উঁরুতে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
 
এবার তাসকিন ফিরলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চোটমুক্ত হবে। ফলে একাদশ গড়ার ক্ষেত্রে বাড়তি চিন্তায় পড়তে হবে না টিম ম্যানেজমেন্টকে। কলকাতায় মশিফিকু রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো ক্রিকেটাররা ইডেনে সন্ধ্যায় দলীয় অনুশীলনে আসেননি। ঐচ্ছিক অনুশীলনে তাঁরা বিশ্রামে ছিলেন। তা তাঁরা থাকতেই পারেন। কিন্তু অনুশীলনে না থেকেও বেশি উপস্থিত থাকলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ কলকাতায়, সাকিব ঢাকায়, গত দুই দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় বোধ হয় এটাই। এই সময়ে কলকাতার ভারতীয় সাংবাদিকদেরও আগ্রহ লক্ষ্য করা হেছে সাকিবকে নিয়েই। বিশ্বকাপ চলার সময়ে দলকে রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক ঢাকায় এসেছেন শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে। ফাহিমের সঙ্গে মিরপুরে তিনটি সেশন করার কথা থাকলেও সে পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন সাকিব। স্বয়ং ফাহিমই জানিয়েছেন, ’শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে তাঁর সঙ্গে তিনটি সেশন করার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু দুটি করেই আপাতত শেষ করতে হচ্ছে। কেন করতে হচ্ছে, সেটি অবশ্য তাঁর জানা নেই। জোর গুঞ্জন ছিল, বিসিবি ও টিম ম্যানেজমেন্টের চাপে সাকিবকে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় চলে আসতে হয়েছে। সাকিবের আকস্মিক ঢাকা সফরে প্রথমে যে প্রশ্নটি বাতাসে ভেসেছিল, সাকিব কি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশে বা কোনো দোকানটোকান উদ্বোধন করতে ছুটলেন কি না? এ অপ্রীতিকর প্রশ্নের জন্য তিনি নিজেই দায়ী।
 
নিকট অতীতে দল বা খেলা রেখে তাঁর হুটহাট বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত উদ্দেশে চলে যাওয়ার উদাহরণ আছে বলে তাঁকে ঘিরে এ প্রশ্ন ওঠে। এবার অবশ্য হুট করে দল রেখে চলে আসার পেছনে পুরোটাই ক্রিকেটীয় কারণ। সেটি নিয়েও চলছে অনেক প্রশ্ন। দলে এত হাইপ্রোফাইল কোচ রয়েছেন। স্বয়ং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে মাসে ২৭ হাজার ডলার বা ৩০ লাখ টাকা বেতন দিয়ে রেখেছে বিসিবি। অথচ সাকিব কিনা দেশে গেছেন শৈশবের কোচের সঙ্গে কাজ করতে। তাহলে হাথুরু, নিক পোথাস, শ্রীরাম শ্রীধরনদের কাজ কী? ফাহিমই জানালেন, সাকিব গত দুই দিন শুধু ব্যাটিং নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে ১৪ গড়ে রান ৫৬। দলের বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক নিজেই যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না, পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার। অধিনায়কের আত্মবিশ্বাস যেখানে নড়বড়ে, দলের বাকিদের কী অবস্থা, না বললেও চলছে। সব সমালোচনা ছাপিয়ে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে উৎসক বানাতে চায় বাংলাদেশ।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।