• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৬:১৭

বাংলাদেশের বিপক্ষেও ম্যাক্সওয়েল খেলবেন

পথরেখা অনলাইন : মুম্বাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংসের পর এই সপ্তাহের শেষভাগে বিশ্বকাপের রাউন্ড-রবিন লিগের শেষ ম্যাচে ১১ নভেম্বর ম্যাক্সওয়েল বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলবেন বলে আশা করছেন পেসার জশ হ্যাজলউড। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গোটা শরীরের ব্যাথা নিয়েই অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিকেটের আলোকিত ব্যক্তিরা যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ানডে ইনিংস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।   
 
অপ্রত্যাশিত ওই তিন উইকেটের জয় অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দিয়েছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। শেষ চারে  দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবেলা করবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে পুনেতে বাংলাদেশের ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পরিণত হয়েছে। তবে হ্যাজলউড মনে করেন ম্যাক্সওয়েল এখনো ওই ম্যাচে খেলার উপযুক্ত। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘হ্যাঁ, আমি অন্তত তাই মনে করি। আমার মনে হয়না এখন এবং আগামী কয়েকদিন তার বেশী কিছু করার প্রয়োজন আছে। সুতরাং আশা করছি অচিরেই ঠিক হয়ে যাবেন তিনি (ম্যাক্সওয়েল)।’ মঙ্গলবার ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রান করা ম্যাক্সওয়েল ম্যাচ শেষে বলেন ১৪৭ রানে যখন তিনি ক্রিজে ছিলেন তখন জয়ের জন্য আরো ৫৫ রান বাকি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ঐ সময়টি ছিল দারুন কঠিন, ব্যাথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন ম্যাক্সওয়েল।
 
দলীয় ফিজিওথেরাপিস্ট নিক জোনস ঐ সময় ম্যাক্সওয়েলকে ফিরে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে বলেন,‘ ক্রমেই তিনি নেতিয়ে পড়ছিলেন। মৃত মানুষের মতো মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। সেখানে গিয়ে আমি দেখলাম তার ডান পায়ের কাফের পেশীতে টান লাগছিল। পায়ের আঙ্গুল অসার হয়ে আসছিল। যে কারণে পাঁজর ও দুই পায়ের নীচের দিকে কোন শক্তি পাচ্ছিলেন না। ঐ সময় বাম হ্যামস্ট্রিংয়েও টান পড়ে।  শুরু হয় পিঠের ব্যাথা।’
 
আমরা তার সশ্রুসাকালে  তিনি বলেছিলেন, আমি এখানে শেষ করছি। আমি চালিয়ে যেতে পারব না। আমাকে অবসর নিতে হবে'।’ তিনি তখন ধুকছিলেন, তবে আমি তাকে বলি, দেখুন সবার আগে আপনাকে উঠে দাঁড়াতে হবে। ম্যাক্সওয়েল উঠেছিলেন এবং মাঠ ছাড়ার পরিবর্তে কস্ট সহ্য করেই ইংনিংসটি শেষ করেছেন।’  
 
জোনস বলেন,‘ ওই অস্থাতেই যেভাবে খেলেছেন তা একেবারেই আশ্চর্যজনক এবং আমি যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও ভালো করেছেন ম্যাক্সওয়েল। আমার মনে হয় তাকে সেখানে খেলতে দেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।