• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:২৫

ভারত-নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত ভারত। ৯ ম্যাচের সবকটিতে জিতে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছে। যদিও বিশ্বকাপের আগে থেকেই ফেবারিট ছিলো স্বাগতিকরা। দারুণ ক্রিকেট খেলছে রোহিত শর্মার দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের সেমিতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে ভারত। এই ম্যাচে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতই রাহুল দ্রাাবিড়ের দলের জন্য বড় ‘হুমকি’। সর্বশেষ ১২ বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আর কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। ট্রফি ছোঁয়া তো দূরের কথা, ফাইনালে খেলারই সুযোগ পায়নি দুবারের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে ভারতের যাত্রা থেমেছে সেমিফাইনালে। এবার সেই ফাড়া কাটানোর দুর্দান্ত সুযোগ তাদের সামনে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দেও আছে তারা। টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত তারা। ১২ বছর পর ফাইনালে ওঠার পথে ভারতের বাধা নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপে কিউইদের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। এবার ভারতীয় ক্রিকেটাররা পারবেন কি না, সেটিই দেখার বিষয়। ওয়াংখেড়েতে জিততে হলে নিজেদের এক বংশোদ্ভূতকেই থামাতে হবে ভারতকে। নিউজিল্যান্ডকে শেষ চারে ওঠাতে যাঁর অবদান অনন্য।
 
সেই ব্যাটার হচ্ছেন রাচিন রবীন্দ্র। বেঙ্গালুরুতে জন্ম নেওয়া ২৩ বছর বয়সী উদীয়মান তারকাই ভারতের বড় ‘হুমকি’। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছেন রাচিন। তবে খেলা দেখে বোঝার উপায় নেই অভিষেক টুর্নামেন্ট খেলছেন তিনি। অভিষেকে ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন। পরে আরও দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সঙ্গে দুটি ফিফটিও করেছেন। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে ৫৬৫ রান করে শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনে আছেন। এই ম্যাচে আবারও স্বপ্নভঙ্গ নাকি গল্পটা বদলাবে ভারতের সেটাই দেখার বিষয়। এর আগে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে হার, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে উইন্ডিজের কাছে হার, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়, ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেই নিউজিল্যান্ডের কাছেই হার ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হার। এসব কিছু এবার বদলানোর পালা।
 
 
বিশ্বসেরা আসরে সর্ব ফেবারিট বলা যায় ভারতকে। বিশ্বকাপ শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার কারা-এমন প্রশ্নে সবার আগে আপনার মাথায় আসতে পারে ভারতের নাম। ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ ছাড়াও ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দারুণ ছন্দে আছে স্বাগতিকরা। আর দুই ম্যাচ জিততে পারলেই দীর্ঘদিন পর শিরোপার স্বাদ পাবে টিম ইন্ডিয়া। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সর্বশেষ টানা চার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোর গ্রুপপর্বে দাপট দেখানোর পরও টিম ইন্ডিয়া প্রতিবারই ছন্দ হারাচ্ছে নকআউটে। ২০১৯ বিশ্বকাপে এই কিউইদের কাছেই শেষ চারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। এবার কী গল্পটা বদলাবে? ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করেন, এবারই বিশ্বকাপ জেতার বড় সুযোগ ভারতের। নাহলে একটি-দুটি নয়, আরও অন্তত তিন সংস্করণে কাপ ছোঁয়ার কথা ভাবতেও পারবে না। শাস্ত্রীর কথায়, ‘দেশে এখন উচ্ছ্বাসের পরিবেশ। হবে নাই বা কেন! ১২ বছর হয়ে গেল শেষ বিশ্বকাপ জয়ের। এবার সেই জয়ের পুনরাবৃত্তির সুযোগ রয়েছে। আর দল যেভাবে খেলছে, তাতে আমি বলব এটাই সেরা সুযোগ।
 
এদিকে সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে পন্ড হলে কারা যাবে ফাইনালে, নিয়ম কী বলে? রাউন্ড রবিন লিগ পর্ব পেরিয়ে এবার শুরু হচ্ছে সেমিফাইনালের লড়াই। প্রথম রাউন্ডের ম্যারাথন লড়াই শেষে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালে আবহাওয়া কেমন থাকবে এটাই এখন দেখার বিষয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মুম্বাইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এদিন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে ইডেনে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল ঘিরে সংশয় দেখা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, কলকাতায় সেমিফাইনালের দিন ৪০% বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রিজার্ভ ডে মানে পরেরদিন শুক্রবারও বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। সেদিন আরও বেশি অর্থাৎ ৫০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা মাথায় রেখে সেমিফাইনালের জন্য একদিন করে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। যদি কোনো কারণে নির্ধারিত দিনের খেলা পন্ড হয়, তাহলে পরের দিন খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
 
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারত ও গত দুই আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালে অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং অস্ট্রেলিয়ার ৫৯ বছর বয়সী রড টাকার। এ ম্যাচ দিয়ে আম্পয়ার হিসেবে শততম ম্যাচের মাইলফরক স্পর্শ করবেন টাকার। বিশ্বের ২০তম ওয়ানডে আম্পায়ার হিসেবে শততম ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি। এই বিশ্বকাপে শততম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো। টাকারের মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন। চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক। ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের এন্ডি পাইক্রফট। 
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।