১৩তম বিশ্বকাপ ক্রিকেট,দশ দলের লড়াই। চ্যাম্পিয়ন ৪ মিলিয়ন ডলার সাথে ট্রফি পাবে। ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদ এর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল যে জিতবে এ সৌভাগ্য তাদের।
রানার আপ পাবে দুই মিলিয়ন ডলার, পরাজিত সেমিফাইনালিস্ট পাবে ৮০০.০০০ ডলার। সব মিলে দশ মিলিয়ন ডলার ভাগা ভাগি হবে। এক মিলিয়ন ডলার =এগারো কোটি ৭০ লাখ। ভারতের দশ যায়গাতে ৪৮টি ম্যাচ হবে, ফাইনাল হবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম,আহমদাবাদ। প্রতিটি গ্রুপ ম্যাচেও টাকা , ৪৫ টি গ্রুপ ম্যাচে ১৮০০,০০০ ডলার। এত টাকার ছড়াছড়িতে যারা বিশ্ব কাপ নিয়ে লিখছে তাদের নামেও ত ডলার ইস্যু করা যেত। আহা ...! আফগানিস্তানের স্পিনার রশীদ স্যালুট পেতেই পারেন, তিনি বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া সব টাকা দিয়ে দিবেন প্যালেষ্টাইন সরকারকে।
টাকার কথা উঠছে যখন দেশের ক্রীড়াংগন নিয়ে বলাই যায়। দেশের অন্যতম বিনদন হল খেলা। এখানেও ভাগ আছে অনেক বড় তারকা প্রথমে নামের গরমে মাঠকে নিয়েই পরেছিল, পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখান নাই, আজ খেলার বয়স নেই বড় বাবু, বড় সাহেবদের কাছে তারা আজ উপেক্ষা, অবজ্ঞার পাত্র। বাংলাদেশ মধ্যবিত্ত দেশ তবে এরই মাঝে ক্রিকেট গুছিয়ে নিয়েছে, টাকার টুং টাং আওয়াজ পাওয়া যায়।
আবার বাবা সাবরেজিস্টার ছিলেন। কলসকাটিতে যেতেন আমাদের নিয়ে, সাত জমিদার পাশাপাশি আলিশান বাড়ি, বি-রা-ট এক দিঘি এই সাতজন ই ব্যবহার করতেন, ডেইল ঝগড়া দিঘি ব্যবহার করা নিয়ে। আমাদের ক্রিকেট প্লেয়াররাওত জমিদারই। তাই ক্রিকেট নিয়ে নিয়ত মন কষাকষি। আমাদের ক্রিকেট পারা জন্ম থেকেই ভূলে ভরা, স্টেডিয়াম খেলার যায়গা। দর্শক টিকেট কেটে খেলা দেখবে, না, বানাও শপসহ স্টেডিয়াম। দর্শকের নিরিবিলি পরিবেশ শ্যাষ। পাকিস্তান বানাল দেকানসহ স্টেডিয়াম অথচ ওদের স্টেডিয়ামে দোকান নেইই। ক্রীড়া পরিবেশ নষ্ট করার বিজ বপন করে গেল আর আমরা তাই অনুসরন করেই যাচ্ছি।ক্রীড়ার ক্রিকেট আর ফুটবল বাদে সব ফেডারেশন অভাবি, এই দোকানের সেলামি, ভাড়া যায় কৈ?
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আশা ছিল। ছোট কালে পড়তাম—
‘হাট্টি মাটিম টিম
তাদের খাড়া দুটো শিং
তারা মাঠে পারে ডিম
তারা হাটি মা টিম টিম ।’
তখনত বুঝি নাই, এখন দেখি ক্রিকেট
‘মাঠে পারে ডিম’
শক্ত হতেই হবে স্পোর্টস কর্তাদের, কি প্রয়োজন ছিল ২৪০ জনের বিরাট দল চীনে এশিয়ান গেমসে পাঠানোর? স্টেডিয়ামের ভাড়া বলুন আর যতই সোর্স অব ইনকামের কথাই বলুন, দলকে দল বিদেশে খেলার নাম করে বেড়াতে গেলে, কোটি বিয়োগ কোটি হাতে থাকে শূন্য, আর ক্রীড়ামদনের পাওনা আজতক শূণ্যের আশে পাশে ঘুরছে।
‘দুরন্ত ঘূর্নির এই লেগেছে পাক
এই দুনিয়া ঘুরে বন বন ..
আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের কর্তাদের অকারণ বন বন করে ঘুরাঘুরি বন্ধ হতে হবে।
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো