• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৯

বিশ্বকাপ ক্রিকেট টাকার মহোৎসব

১৩তম বিশ্বকাপ ক্রিকেট,দশ দলের লড়াই। চ্যাম্পিয়ন ৪ মিলিয়ন ডলার সাথে ট্রফি পাবে। ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদ এর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল যে জিতবে এ সৌভাগ্য তাদের।
 
রানার আপ পাবে দুই মিলিয়ন ডলার, পরাজিত সেমিফাইনালিস্ট পাবে ৮০০.০০০ ডলার। সব মিলে দশ মিলিয়ন ডলার ভাগা ভাগি হবে। এক মিলিয়ন ডলার =এগারো কোটি ৭০ লাখ। ভারতের দশ যায়গাতে ৪৮টি ম্যাচ হবে, ফাইনাল হবে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম,আহমদাবাদ। প্রতিটি গ্রুপ ম্যাচেও টাকা , ৪৫ টি গ্রুপ ম্যাচে ১৮০০,০০০ ডলার। এত টাকার ছড়াছড়িতে  যারা বিশ্ব কাপ নিয়ে লিখছে তাদের নামেও ত ডলার ইস্যু করা যেত। আহা ...! আফগানিস্তানের স্পিনার রশীদ স্যালুট পেতেই পারেন, তিনি বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া সব টাকা দিয়ে দিবেন প্যালেষ্টাইন সরকারকে।
 
টাকার কথা উঠছে যখন দেশের ক্রীড়াংগন নিয়ে বলাই যায়। দেশের অন্যতম বিনদন হল খেলা। এখানেও ভাগ আছে অনেক বড় তারকা প্রথমে নামের গরমে মাঠকে নিয়েই পরেছিল, পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখান নাই, আজ খেলার বয়স নেই বড় বাবু, বড় সাহেবদের  কাছে তারা আজ উপেক্ষা, অবজ্ঞার পাত্র। বাংলাদেশ মধ্যবিত্ত দেশ তবে এরই মাঝে ক্রিকেট গুছিয়ে নিয়েছে, টাকার  টুং টাং আওয়াজ পাওয়া যায়।
 
আবার বাবা সাবরেজিস্টার ছিলেন। কলসকাটিতে যেতেন আমাদের নিয়ে, সাত জমিদার পাশাপাশি আলিশান বাড়ি, বি-রা-ট এক দিঘি এই সাতজন ই ব্যবহার করতেন, ডেইল ঝগড়া দিঘি ব্যবহার করা নিয়ে। আমাদের ক্রিকেট প্লেয়াররাওত জমিদারই। তাই ক্রিকেট নিয়ে  নিয়ত মন কষাকষি। আমাদের ক্রিকেট পারা জন্ম থেকেই ভূলে ভরা, স্টেডিয়াম খেলার যায়গা। দর্শক টিকেট কেটে খেলা দেখবে, না, বানাও শপসহ স্টেডিয়াম। দর্শকের নিরিবিলি পরিবেশ শ্যাষ। পাকিস্তান বানাল দেকানসহ স্টেডিয়াম অথচ ওদের স্টেডিয়ামে দোকান নেইই। ক্রীড়া পরিবেশ নষ্ট করার বিজ বপন করে গেল আর আমরা তাই অনুসরন করেই যাচ্ছি।ক্রীড়ার ক্রিকেট আর ফুটবল বাদে সব ফেডারেশন অভাবি, এই দোকানের সেলামি, ভাড়া যায় কৈ? 
 
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আশা ছিল। ছোট কালে পড়তাম—
‘হাট্টি মাটিম টিম
তাদের খাড়া দুটো শিং
তারা মাঠে পারে ডিম
তারা হাটি মা টিম টিম ।’
তখনত বুঝি নাই, এখন দেখি ক্রিকেট 
‘মাঠে পারে ডিম’
 
শক্ত হতেই হবে স্পোর্টস কর্তাদের, কি প্রয়োজন ছিল ২৪০ জনের বিরাট দল চীনে এশিয়ান গেমসে পাঠানোর? স্টেডিয়ামের ভাড়া বলুন আর যতই সোর্স অব ইনকামের কথাই বলুন, দলকে দল বিদেশে খেলার নাম করে বেড়াতে গেলে, কোটি  বিয়োগ কোটি  হাতে থাকে শূন্য, আর ক্রীড়ামদনের পাওনা আজতক শূণ্যের আশে পাশে ঘুরছে।
‘দুরন্ত ঘূর্নির এই লেগেছে পাক
এই দুনিয়া ঘুরে বন বন ..
আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের কর্তাদের  অকারণ বন বন করে ঘুরাঘুরি বন্ধ হতে হবে।
 
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।