পথরেখা অনলাইন : নতুন বলে মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজেলউডরা বাড়তি কোনো সুবিধা আদায় করতে পারেননি। সঙ্গত কারণেই পাওয়ার প্লেতে স্পিন আক্রমণে যান প্যাট কামিন্স। তাতেও সাফল্য ধরা দেয়নি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে অজিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২তম ওভার পর্যন্ত। প্রথম দুই উইকেট এসেছে পেসারদের হাত ধরে। তবে এরপর লঙ্কান ব্যাটারদের ধাঁধায় ফেলেন অ্যাডাম জাম্পা। তার জালে ধরা পড়েছেন ৪ ব্যাটার। ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
২০৯ রানে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ছোট লক্ষ্যে শুরুতে হোঁচট খেলেও সহজ জয় এনে দিলেন তাদের ব্যাটাররা। মিচেল মার্শ ও জশ ইংলিসের হাফ সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে হারের বৃত্তে রেখে ৫ উইকেটে এই বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতলো অজিরা। ইনজুরি জর্জর শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিল। দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল পেরেরা হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হলে ধস নামে। ৫২ রানের ব্যবধানে শেষ ৯ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কা জোড়া আঘাত হানেন। দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার (১১) ও স্টিভ স্মিথ (০) এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ওয়ার্নার। পঞ্চম ওভারে মার্নাস লাবুশেনের বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানিয়ে উল্লাসে মাতেন লাহিরু কুমারা। রিভিউ নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টান অজি ব্যাটার। শূন্য রানে জীবন পেয়ে লাবুশেন শুরুর ধাক্কা সামলে নেন মিচেল মার্শের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিতে। মার্শ ৫১ বলে ৫২ রান করেন ৯ চার মেরে। অস্ট্রেলিয়া ওপেনার রান আউট হলে হাল ধরেন ইংলিস ও লাবুশেন। চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রান তোলেন তারা দুজন। মাদুশাঙ্কা লাবুশেনকে (৪০) হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন। ফিফটি করে ইংলিস দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হন তিনি। লক্ষ্য থেকে ১৮ রান দূরে থাকতে থামেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ৫৯ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৮ রান করেন ইংলিস। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৪ রানের।
ম্যাক্সওয়েল মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে দলকে জেতান স্টয়নিস। ৩৫.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। স্টয়নিস ২০ ও ম্যাক্সওয়েল ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৭ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। টানা তিন ম্যাচ হারলো শ্রীলঙ্কা। আর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে জয়ের দেখা পেলো অস্ট্রেলিয়া।
পথরেখা/আসো