• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫২

আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় কোন পথে লঙ্কান ক্রিকেট

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপ থেকে একরকম খালি হাতেই ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপে আসলেও এবার আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ ঘটেনি। তারওপর নানা সমস্যায় পড়ে পেয়েছে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। তার আগে ক্রিকেট বোর্ডের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পর আদালতের রায়ে সেটিকে পূনবর্হাল করেছে। এখন আইসিসি নিষেধাজ্ঞায় লঙ্কান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কোন পথে রয়েছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট-এসএলসিকে বরখাস্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি। এর আগে চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বাতিল ঘোষণা করে। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত দেশটির আদালত থেকে রহিত করা হয়। কিন্তু বোর্ড বাতিলের নির্দেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পর্যদ আইসিসির ‘নীতিমালার গুরুতর অবমাননা’ হিসেবে দেখছে। তারা এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনও দেশের ক্রিকেট বোর্ড হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং সরকারের কোন ধরনের প্রভাব থাকবে না বোর্ড প্রশাসনের ওপর।
 
শ্রীলঙ্কা এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বর দল, নয় ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে দলটি। এই দলের কোচের দায়িত্বে ছিলন সাবেক ইংল্যান্ড কোচ ক্রিস সিলভারউড। গত সপ্তাহে ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রানাসিংহে সংসদে এক বিবৃতিতে এসএলসিকে ‘বিশ্বাসঘাতক এবং দুর্নীতিবাজ’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বোর্ড সদস্যদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর লঙ্কান ক্রিকেটের প্রধান মোহন ডি সিলভা পদত্যাগ করেন এবং বোর্ড বরখাস্ত করা হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী রানাসিংহে তাদের জায়গায় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার সভাপতিত্বে একটি অন্তবর্তী কমিটি গঠন করেন। যদিও লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের এই বিলুপ্তির বিরুদ্ধে আদালত একটি আবেদন দুই সপ্তাহের স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করেছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট তাদের ওপর আনা আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে রানাসিংহের অভিযোগের বিষয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেছে। গত বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পরই ভারতের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছে।
 
আর এর মাত্র একদিন পর আইসিসির স্থগিতাদেশ আসে। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কোনও পূর্ব পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ নেই এবং আইসিসির হিসেব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কোনও ফান্ড শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের একাউন্টে যাওয়ার কথা না। তাই এখনও পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার বড় কোনও প্রভাব আছে বলে মনে হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আহমেদাবাদে ১৮-২১ নভেম্বর একটি বৈঠক করবে, সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলাপ হবে। যদিও এখন আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা অনলাইন মিটিংয়ে। মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয়ের পরই যত ঝামেলার শুরু হয়। অ্যাঞ্জোলো ম্যাথুসকে টাইমড আউট করে যেমন সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তেমনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশাও শেষ হয়ে যায়। প্রথমবারের মতো টাইমড আউট হওয়ার কারণে সাকিবের পক্ষ-বিপক্ষে তৈরি হয়ে যায়।
 
লঙ্কান ম্যাচের আগেই বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গেছে টাইগাররা। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে কিনা-রয়েছে সেই শঙ্কা থাকলে ভারতের কাছে নেদারল্যান্ডের পরাজয়ের পর তাও কেটে গেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চারিথ আসালঙ্কার শতকের উপর ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিবের রেকর্ড ১৬৯ রানের জুটিতে ভর করে ৫৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ফলে দীর্ঘ ৬ ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বেঁচে রয়েছে টাইগারদের। ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এক পা দিয়ে রাখবে বাংলাদেশ। এমন সমীকরণের দিনে লঙ্কানদের দেওয়া ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে আগ্রাসী সূচনা করে টাইগাররা। বিনা উইকেটে ১৭ রান তুলে ঝড়ো শুরুর আভাস দেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তরুণ ওপেনার তামিম। দলীয় ১৭ রানের টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেও  দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। সবমিলিয়ে সামনে কি অপেক্ষা করছে লঙ্কান ক্রিকেটে সেটাই দেখার বিষয়।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।