• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:১৩

প্রথমবার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দক্ষিন আফ্রিকা

পথরেখা অনলাইন : বিশ্ব ক্রিকেটে চোকার্স হিসেবে পরিচিত দক্ষিন আফ্রিকা এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলছে। দুর্দান্ত খেলে শেষ চারে পৌছানো দলটি ১৬ নভেম্বর মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।  ১৯৯৮ সালের মিনি বিশ্বকাপ জেতা প্রোটিয়ারা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে। তবে পারফরম্যান্স আর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় কিছুটা হলেও এগিহয়ে থাকবে অজিরা। বিশ্বকাপ মানেই যেন এক করুণ বিষাদের গল্প দক্ষিণ আফ্রিকার। কখনো হিসাবের গরমিলে, কখনো বা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ। নক আউট ম্যাচে মাঠে নামলেই স্নায়ুর চাপে ম্যাচটা প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে আসত। নির্বাসন কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর চারবার সেমিফাইনালে পৌঁছালেও তাই কখনো খেলা হয়নি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। দুঃস্মৃতি পেছনে ফেলে নতুন গল্প লেখার প্রত্যয় ‍বুকে লালন করে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রোটিয়াদের ক্রিকেট দ্বৈরথের পরতে পরতে লুক্কায়িত ভরপুর রোমাঞ্চ। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এজবাস্টনে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রায় জিততে যাওয়া ম্যাচে ‘টাই’ করে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। গ্রুপ পর্বে শ্রেয়তর ফলের হিসাবে ফাইনালে নাম লিখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
 
এবার নিশ্চয়ই প্রতিশোধই নিতে চাইবে বাভুমার দল। সাত বছর পর সেন্ট লুসিয়ার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতাই গড়তে পারেনি প্রোটিয়ারা। কলতাকায় কি পারবে অগৌরবের অতীতটা বদলে দিয়ে সাফল্যের বীরোচিত কোনো কাব্য রচনা করতে? এবারের বিশ্বকাপ কিন্তু দুর্দান্ত কাটছে প্রোটিয়াদের। ফর্মের মানদন্ডে তারা চলতি আসরের অন্যতম সেরা দল। ৯ ম্যাচের সাত জয়ে তারা টিকিট কেটেছে সেমিফাইনালের। মোট ৪৪২ রান করে এই পথচলায় দারুণ ভূমিকা রেখেছেন রাসি ফন ডার ডুসেন। দুই যুগ আগে এজবাস্টনে অ্যালান ডোনাল্ডদের বিষাদময় অতীত খুব একটা মনে করতে পারেন না তিনি। ডুসেনের বিশ্বাস ১৯৯৯ সালের মতো এবারও শিরোপা জেতার দারুণ সুযোগ আছে তাদের, ‘১৯৯৯ সালে আমার বয়স ছিল ১০ বছর। তাই সেদিনের ঘটনা খুব মনে নেই। ওই বছর সত্যিকার অর্থে বিশ্বকাপ জেতার ভালো সুযোগ ছিল। আমার বিশ্বাস আমাদের এই দলটারও শিরোপা জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে।’
 
ভারত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৪২৮ রানের দলীয় স্কোরটা গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাই, যা ওয়ানডে বিশ্বকাপেরও দলীয় সর্বোচ্চ। তুখোড় ছন্দে থাকার পাশাপাশি সাম্প্রতিক অতীত পক্ষে প্রোটিয়াদের। সর্বশেষ চার ওয়ানডেতেই প্রোটিয়ারা হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্যে চার সপ্তাহ আগে চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও তারা ১৩৪ রানে বিধ্বস্ত করেছিল প্যাট কামিন্সের দলকে। কিন্তু এরপর আর কোনো ম্যাচ হারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে খুব একটা বিচলিত নন জেরাল্ড কোয়েটজি, ‘সামনে কী আছে তা নিয়ে খুব একটা রহস্য তো নেই। কী প্রত্যাশা, এটা জেনেই আমরা শান্ত থাকতে পারি।’ তেম্বা বাভুমার ফিটনেস নিয়ে যদিও শঙ্কা আছে। তবে ম্যাচের আগেরদিনও অনুশীলনে প্রাণোচ্ছল দেখা গেছে তাঁকে। নেটে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনিই হয়তো নেতৃত্ব দেবেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এই ম্যাচ নিয়ে পুরো কলকাতা খইয়ের মতো ফুটছে! ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রোহিত শর্মার ভারত মুখোমুখি হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের।
 
ম্যাচটিকে ঘিরে শুধু কলকাতা নয়, পুরো ভারত এখন ক্রিকেট জ্বরে পুড়ছে। ভারত দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। নিউজিল্যান্ড টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের রানার্সআপ। ম্যাচটি যখন বিশ্বকাপের সব ফোকাস টেনে নিয়েছে, তখন ‘নন্দনকানন’ ইডেনের একটু ধীরলয়ের উইকেটে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়ার ছক কষছে টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। তাসমান সাগর পাড়ের দেশ অস্ট্রেলিয়া খেলবে ষষ্ঠ শিরোপা জিততে। ভারত মহাসাগর পাড়ের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ফাইনাল। ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে। কিন্তু সেমির ব্যারিয়ার টপকে একবারও ফাইনাল খেলেনি। এবার পারবে কি সব ব্যর্থতাকে ভারত মহাসাগরে ভাসিয়ে ফাইনাল খেলতে? ছন্দে থাকা কুইন্টন ডি কক, মার্কো জেনসেন, ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, কোয়েটজেদের অনুশীলন দেখে মনে হয়েছে ফাইনাল খেলতে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়ারা। আফগানিস্তান ম্যাচে মাসলপুল করেছিল প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা পুরোপুরি নিশ্চিত নয় প্রোটিয়া অধিনায়কের। তার পরিবর্তে রিজা হেনড্রিক্স প্রস্তুত। অনুশীলনে লম্বা লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছেন হেনড্রিক্স। তবে প্রোটিয়াদের মূল ভরসা ওপেনার ডি কক। বাঁ হাতি ওপেনার এর মধ্যে ৯ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিসহ ৫৯১ রান করেছেন। এবারের বিশ্বকাপই ডি ককের শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। তাই তিনি নিজে এবং টিমমেটরাও চাইছেন বিশ্বকাপ জিততে। সব মিলিয়ে দারুণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।